নাতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

দেশ চালানোর মতো কঠিন কাজ করেন তিনি। তাই ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। তিনি সরকারপ্রধান। দেশের সর্বপ্রাচীন ও জনপ্রিয়তম দলটির সভাপতি। জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা বলছি আমরা। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি পরিবারকে সময় দেন। হেঁসেল ঘুরে ঢুকে যান পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্যে রান্না করতে। ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে বরফের দেশে তুষার রাজ্যে ঘুরে বেড়ান। আবার একেবারে আমজনতার সঙ্গে মিশে গিয়ে রিকশাভ্যানে চড়ে বসেন পরিজনদের নিয়ে। এই হচ্ছেন শেখ হাসিনা!

সবশেষ আমরা ছবিতে দেখলাম তিনি নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফরিদপুরের বেয়াই বাড়িতে। এই জেলায় জনসভায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৯ বছর পর গেলেন সেখানে। ২৯ মার্চ-এর জনসভাকে কেন্দ্র করেই তার এই সফর। তবে ফরিদপুরের জনসভায় যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বেড়াতে গেলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরে।

জনসভায় যাওয়ার আগে দুপুরের খাবার খেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে খাবার খেয়ে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছেলে খন্দকার জারিফ হোসেনকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন আফসানা মঞ্জিলের বাড়ি।

এ সময় নাতির হাত ধরে ঘুরেছেন প্রধানমন্ত্রী। নানীকে পেয়ে জারিফও যেন আনন্দের আত্মহারা। নানীর হাত ধরেই বাড়ির এখানে-সেখানে ঘুরে বেরিয়েছে সে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফরে এসে শহরের বদরপুরে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও জোহরের নামাজ আদায় করেন তিনি।

সেদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেয়াই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলির বাড়ি আফসানা মঞ্জিলে যান। সেখানে তাকে বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তার স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন অন্য স্বজনেরা তাকে স্বাগত জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর