মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি

‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না।’ কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অনেকেই যথাযথযোগ্য সম্মান পাননি। অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যেমন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, আবার বাদ পড়েছেন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর কে ভুয়া, নতুন করে কারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, সেই যাচাই-বাছাই নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি। এই যাচাই-বাছাই নিয়ে সারাদেশে শতাধিক মামলা হয়েছে। কোরাম না হওয়ার কারণে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেনি ১৩ উপজেলায়। বাছাই কমিটিতে সিংহভাগ আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারেননি। অন্যদিকে যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে উঠেছে টাকা লেনদেনের অভিযোগ।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির আবেদন করা ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীক্ষণ এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জেলা, মহানগর ও উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি করে সরকার। কিন্তু সেই কমিটির অনেকের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ আসতে থাকায় যাচাই-বাছাই কমিটিগুলো দফায় দফায় সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন জমা পড়ে জমা পড়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭০টি। এ ছাড়া সরাসরি প্রায় ২০ হাজার আবেদন জমা হয়। সারা দেশে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪৮৮টি উপজেলা ও ৮টি মহানগর কমিটি কাজ শুরু করে ২১ জানুয়ারি থেকে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ উপজেলা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে ৪৫টি উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে জামুকা।
সারাদেশে ১শ’ মামলা: তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর কে ভুয়া, নতুন করে কারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, সেই যাচাই-বাছাই নিয়ে করা কমিটির বিরুদ্ধে ১শ’ রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। বাদীকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য, অন্য উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করার কারণে, বাদীকে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করায়, যাচাই-বাছাই কমিটির ১৫৫ নং মেমোকে চ্যালেঞ্জ করে, বাদীর নাম বাদ দেয়ায়, সংশোধিত কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে এসব মামলা করা হয়েছে। রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত বিভিন্ন মেয়াদে এই কার্যক্রম স্থগিত করেন।
কোরাম পূরণ হয়নি ১৩ উপজেলায়: ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন, ফেনীর ফুলগাজী ও সোনাগাজী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, শরীয়তপুর সদর, মাগুরা সদর, বগুড়ার সদর উপজেলা ও নন্দীগ্রাম, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এবং ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম কোরাম না হওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে অনিবার্য প্রশাসনিক কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কার কারণে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিংহভাগ আবেদনকারী অযোগ্য: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যাচাই-বাছাইকৃত প্রাপ্ত প্রতিবেদনের আলোকে ১২টি উপজেলার বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ও গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা চূড়ান্ত করেছে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১২টি উপজেলায় ৯৭ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত থেকে বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ৩শ’ আবেদনকারীকে গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ১৩ জন আবেদনকারীর বিষয়ে কমিটি দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এসব উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল।
উপজেলাওয়ারি পরিসংখ্যানে যশোর সদরে বাতিলের জন্য ৫৭ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত থেকে বাতিল, গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারী ৪১ জন এবং ৩ জনের বিরুদ্ধে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। ঝিকরগাছায় বাতিলের জন্য গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারী ৪২ জন এবং ১০ জনের বিরুদ্ধে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ৫ জন এবং গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ৬ জন। কেশবপুর উপজেলায় ৫ জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় গেজেটভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। খুলনার রূপশা উপজেলায় বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ৭ জন এবং গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ১৬ জন। দিঘলিয়া উপজেলায় ৪ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত থেকে বাতিল, গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ৫ জন। ফুলতলা উপজেলায় বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ২ জন এবং গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ৭ জন। দাকোপ উপজেলায় গেজেটভুক্ত ১৩ জনকে বাতিল এবং নতুন ১৭জ নকে গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ১ জন এবং গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ২১ জন। রামপাল উপজেলায় নতুন আবেদনকারী ২১ জনকে তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় বাতিলের জন্য সুপারিশকৃত গেজেটভুক্ত ১০ জন এবং গেজেটভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৫ জন। সাতক্ষীরা সদরে গেজেটভুক্তির জন্য ৩৮ জন নতুন আবেদনকারীকে সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থ লেনদেনের অভিযোগ: আর্থিক সুবিধা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুয়া নাম তোলার আশ্বাস দিচ্ছেন এমন অভিযোগ প্রতিদিনই আসছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা)। কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সাধারণ মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম তুলে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা না দিলে মিলবে না মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামুকার এক কর্মকর্তা একগাদা অভিযোগ এই প্রতিবেদকের কাছে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিদিনই এই ধরনের অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বিভাগওয়ারি তথ্য: মানবকণ্ঠের কাছে দুটি বিভাগের পূর্ণাঙ্গ তথ্য রয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, বাগেরহাট, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, খুলনা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, যশোর জেলায় ৫টি ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন জমা পড়ে ৩৬ হাজার ৮৮৩টি। সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ২১ হাজার ৪৪০টি এবং সরাসরি ১ হাজার ৮১৯টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৪২৯ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ৯ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৮ হাজার ৮৬ জন, ভারতীয় তালিকা ৫ হাজার ১শ’ জন আবেদন করেছেন। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে কুষ্টিয়ায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৯৬৫টি এবং সরাসরি ৬ হাজার ৬৬৩টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১১৯ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ৩ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ১ হাজার ৭৫ জন, ভারতীয় তালিকা ১ হাজার ৫ জন আবেদন করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৬১০টি এবং সরাসরি ৬৮টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১৩১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৬২৮ জন, ভারতীয় তালিকা ৬২৮ জন আবেদন করেছেন। নড়াইল জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ২ হাজার ৫০১টি এবং সরাসরি ৯৯টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১০ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশায় ২ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৫৪৮ জন, ভারতীয় তালিকা ২৭৩ জন আবেদন করেছেন। বাগেরহাট জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ৩ হাজার ৬৫৭টি এবং সরাসরি ১৩৪টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ২৭ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ১ হাজার ৪৯১ জন, ভারতীয় তালিকা ৫৩৭ জন আবেদন করেছেন।
মেহেরপুর জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ৯৬৩টি এবং সরাসরি ৭৩টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১২ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৫১২ জন, ভারতীয় তালিকা ৩৩৬ জন আবেদন করেছেন। ঝিনাইদাহ জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ২ হাজার ৬৬২টি এবং সরাসরি ১১০টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১০ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৭৮৬ জন, ভারতীয় তালিকা ৬৫৯ জন আবেদন করেছেন।
খুলনা জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৮৭৫টি এবং সরাসরি ১৬৩টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১৭ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৫৮৯ জন, ভারতীয় তালিকা ২০৭ জন আবেদন করেছেন। সাতক্ষীরা জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৮৩৪টি এবং সরাসরি ১৪৩টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৯ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশায় ১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৭৭৮ জন, ভারতীয় তালিকা ৪২৫ জন আবেদন করেছেন।
মাগুরা জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ২ হাজার ৫৯৩টি এবং সরাসরি ২২০টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ২২ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশায় ২ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৮৯৯ জন, ভারতীয় তালিকা ২৯০ জন আবেদন করেছেন। যশোর জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৭৮৯টি এবং সরাসরি ১৪৬টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৭২ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশায় ১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৭৮০ জন, ভারতীয় তালিকা ৭৪০ জন আবেদন করেছেন।
বরিশাল বিভাগেও ৫ ক্যাটাগরিতে পিরোজপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি জেলায় ২০ হাজার ৬৫৯টি আবেদন জমা পড়ে। সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১৩ হাজার ২১৩টি এবং সরাসরি ১ হাজার ২২৪টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১১৩ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ৫ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৪ হাজার ৪৯০ জন, ভারতীয় তালিকা ১ হাজার ৬১৪ জন আবেদন করেছেন। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে বরিশাল জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ৪ হাজার ৮৯১টি এবং সরাসরি ৫৬০টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৪২জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ১ হাজার ৯৫১ জন, ভারতীয় তালিকা ৮৪৯ জন আবেদন করেছেন। পিরোজপুরে সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ২ হাজার ৪১০টি এবং সরাসরি ১৪৯টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১৪ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৭১১ জন, ভারতীয় তালিকা ৪০২ জন আবেদন করেছেন। পটুয়াখালীতে সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৭৫৪টি এবং সরাসরি ৫৬৮টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৭ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ২ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৪২৪ জন, ভারতীয় তালিকা ৫০ জন আবেদন করেছেন। বরগুনা জেলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ৯৯৩টি এবং সরাসরি ৩২টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ৯ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৫৬৯ জন, ভারতীয় তালিকা ৩৭ জন আবেদন করেছেন। ভোলায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে অনলাইনে ১ হাজার ৫৮৮টি এবং সরাসরি ১৭৬টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ২৬ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৩৬৪ জন, ভারতীয় তালিকা ৮৬ জন আবেদন করেছেন। ঝালকাঠিতে অনলাইনে ১ হাজার ৫৭৭টি এবং সরাসরি ১৩৯টি আবেদন ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধাহত ও শহীদ হিসেবে ১৫ জন, অন্যান্য শ্রেণিপেশা ১ জন, স্থগিত গেজেটের তালিকা ৪৭১ জন, ভারতীয় তালিকা ১৯০ জন আবেদন করেছেন।

মানবকণ্ঠ

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর