আওয়ামী লীগে কাউয়া কারা

রফিকুল ইসলাম রনি : আওয়ামী লীগে ‘কাউয়া (কাক) ঢুকেছে’ দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের পর সারা দেশে দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘কাউয়া’। বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠেছে কাউয়া কারা? সামাজিক গণমাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা উড়ে এসে জুড়ে বসা হাইব্রিডদেরকেই ‘কাউয়া’ বলতে শুরু করেছেন।

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা ও জেলাপর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ‘হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারী এবং জীবনে আওয়ামী রাজনীতির ছায়াও ছুঁয়ে দেখেননি, দল ক্ষমতায় আসার পর ভুঁইফোড় যেসব সংগঠন ‘রাজনৈতিক দোকান’ গড়ে তুলেছেন তাদেরকেই ‘কাউয়া’ বুঝিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এই কাউয়ারা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত, বিভিন্ন বাম দল এবং জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন এবং এখন দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন। আবার অনেকেই বলছেন, ‘হাইব্রিড’ নতুন সংস্করণ হচ্ছে কাউয়া।

গত বুধবার সিলেটে বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের মধ্যে ‘কাউয়া’ ঢুকে গেছে। তারা ঘরের মধ্যে ঘর তৈরির চেষ্টা করছে। ঘরের মধ্যে ঘর বানাতে দেওয়া যাবে না। ওলামা লীগ, হাইব্রিড লীগ নানা নাম নিয়ে দোকান খোলা হচ্ছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে যারা সংগঠনের নামে দোকান খুলে বসেছে, তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজ এলাকায় ভিত্তি মজবুত করতে জামায়াত নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন। শুধু জামায়াতই নয়, বিএনপি-জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা গণহারে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তারা স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে বাঁচতে নৌকায় চড়েন।

দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতারা নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করছেন। নিজের দল ভারী করতে তারা বিএনপি-জামায়াতের হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের দলে ভেড়াতে ‘কাউয়া’ বানিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসাচ্ছেন। উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতারা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলসহ এমন কোনো অপকর্ম নাই যা তারা করছেন না। বিগত সময়ে যারা বিএনপি-জামায়াতের হামলা-মামলাসহ নানা অত্যাচার সহ্য করেছেন তারা এখন যেন বিরোধী দলে। একদা যেসব ‘কাউয়া’র হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারাই এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। এসব এমপি-মন্ত্রী নেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকেছে—এই বক্তব্যের মাধ্যমে দলের সাধারণ সম্পাদক সাহেব যদি হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় সংগঠনকে বুঝিয়ে থাকেন তাহলে ঠিকই বলেছেন। তবে শুধু বললেই হবে না। এই কাউয়াদের বিরত করতে হবে। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার মতে, কাউয়া বলতে দলে অনুপ্রবেশকারীদেরকেই মিন করা হয়েছে। টানা দুই মেয়াদে দল ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ-সুবিধা নিতে বিভিন্ন দল থেকে এরা আওয়ামী লীগে আশ্রয় নিয়েছেন। এই নেতাদের কেউ কেউ এখন দলের শীর্ষ পদও বাগিয়ে নিয়েছেন। তারা দলের ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। বিভেদ সৃষ্টি করে দলের ভিতরে ফাটল সৃষ্টি করছেন। অন্যদিকে নামের

আগে লীগ, বঙ্গবন্ধু লিখে গড়ে ওঠার দুই শতাধিক ভুঁইফোড় সংগঠনেরও কথা বলেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত বুধবার সিলেটে যে মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনও। তার কাছে কাউয়ার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আশির দশকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু নসর ভাই। একদিন তিনি সিলেটী ভাষায় বলেছিলেন—‘আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকেছে’।

দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢাকা থেকে সিলেট আসার পথে বিলবোর্ডে অনেক ছবি, অনেক সৌজন্য দেখেছি। কিন্তু আজকে রাজনীতিতে সৌজন্যতা নেই।’ আহমদ হোসেন বলেন, অন্য কোনো কিছু বুঝিয়েছেন কিনা তা বলতে পারব না। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কাউয়া বলতে কাদেরকে মিন করেছেন তা আমি জানি না। তবে নিশ্চয় তার (ওবায়দুল কাদের) কাছে ব্যাখ্যা আছে।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক প্রবীণ সদস্য বলেন, ‘যারা খাউয়া-তারাই কাউয়া’। তবে ‘কাউয়া’ বলতে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় সংগঠন ও নব্য আওয়ামী লীগার ‘হাইব্রিড’ নেতাদের মনে করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত গণমানুষের নেতা। রাজনীতির ধাপে ধাপে উঠে আসা ওবায়দুল কাদের বেফাঁস কথা বলেননি। কাউয়া বলে হাইব্রিড ও দোকান মালিকদের সতর্ক করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইবুর রহমান রাজন ও তাড়াশ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বলেন, কাউয়া বলতে দলের ভিতরে অনুপ্রবেশকারীকে বুঝিয়েছেন। যারা দল ক্ষমতায় আসার পর এমপি-মন্ত্রীদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে এসে দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছে। তারা আরও বলেন, কাউয়ার কাজ ঠোকাঠুকি করা। যারা পদপদবি পেয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে রেখেছেন এবং বিএনপি জামায়াতকে দলে ভিড়িয়ে রাখছেন তাদের মিন করেছেন।

আলোচিত কাউয়া সংগঠন : নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’, শেষে ‘লীগ’, নামে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দোকানের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। এসব সংগঠনকেই কাউয়া বলে অভিহিত করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে অনুমোদন না থাকলেও এসব সংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন দফতরে অনৈতিক সুবিধা আদায় ও নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসবের দায়ভার নিতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই এসব দোকানের প্রোগ্রামে না যেতে দলীয় এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে এসব সংগঠনের পরিচয়ে কোথাও চাঁদাবাজি করলেই পুলিশে দিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় দুই শতাধিক ভুঁইফোড় সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের নেতাদের নামে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘কাউয়া’ বলার পর এসব সংগঠনের নেতাদের ‘কাউয়া’ সম্বোধন করা শুরু হয়েছে। ওলামা লীগ নামক সংগঠন এখন তিন খণ্ডে বিভক্ত। এর একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও অন্য একটি গ্রুপ হেফাজত-জামায়াতের সুরে কথা বলে। তারা শিক্ষানীতি বাতিল, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ এবং বৈশাখী অনুষ্ঠান বাতিলের মতো দাবি তোলে। আওয়ামী লীগের জন্য বিষফোঁড়া এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।

দিন দিন নতুন নতুন সংগঠন বেড়েই চলেছে। গতকাল ‘জয় ডিজিটাল মাতা শেখ হাসিনা আইসিটি লীগ’ নামে নতুন একটি সংগঠনের ব্যানার ও কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এর আগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী সজীব ওয়াজেদ জয় লীগ’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে।

আরও সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন সংসদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন।

রয়েছে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ, বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, চেতনায় মুজিব, আমরা মুজিব সেনা, বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, জননেত্রীর সৈনিক, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, শেখ রাসেল শিশু পরিষদ, সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ, ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন প্রভৃতি।

‘আওয়ামী’ ও ‘লীগ’ শব্দ ব্যবহার করে গড়ে তোলা সংগঠনগুলো হচ্ছে আওয়ামী তরুণ লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী হকার্স লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী সমবায় লীগ, আওয়ামী শিশু যুব সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী তৃণমূল লীগ, আওয়ামী যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী শিশু-কিশোর লীগ, আওয়ামী অভিভাবক লীগ, আওয়ামী কর্মজীবী লীগ, আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনা লীগ, আওয়ামী পর্যটন লীগ।

আরো রয়েছে, আওয়ামী নবীন লীগ, আওয়ামী স্বাধীনতা লীগ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ, আওয়ামী ইয়াং বাংলা লীগ, আওয়ামী সৈনিক প্লাটুন, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, তরীকত লীগ, চলচ্চিত্র লীগ, মত্স্যজীবী লীগ, ছিন্নমূল মত্স্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র মত্স্যজীবী লীগ, রিকশা মালিক লীগ, রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মচারী লীগ, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, ঘাট শ্রমিক লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ প্রভৃতি।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণমুক্তি আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি প্রতিরোধ কমিটি, প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধ সমাজকল্যাণ যুব সংঘ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ প্রভৃতি।

এর বাইরেও ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ সংগঠন দাবি করে গড়ে ওঠা বাহারি নামে আরও কিছু সংগঠনের অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে আমরা নৌকা প্রজন্ম, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, নৌকার নতুন প্রজন্ম, ডিজিটাল আওয়ামী লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী ওলামা লীগ, ডিজিটাল ছাত্রলীগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিষদ, বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন, সাধনা সংসদ, জাতীয় মুক্তিবাহিনী ’৭৫, জনতার প্রত্যাশা, ২১ আগস্ট ঘাতক নির্মূল কমিটি, পরিবর্তন ফাউন্ডেশন, সোনার বাংলা গঠন পরিষদ, সম্মিলিত যুব-পেশাজীবী পরিষদ, অরোরা ফাউন্ডেশন প্রভৃতি। বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর