ঘর করলাম নারে আমি সংসার করলাম না

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি। হিসাবের খাতায় মিল-অমিল। হয়তো তারা সে হিসাব মেলাতে চেয়েছেন। হয়তো চাননি। তবে তাদের সবার জীবনের গল্প একই সরল রেখায় এগুচ্ছে। জীবন তাদের কোনো নিয়মে বাঁধতে পারেনি। তারা বন্দি হননি কোনো সূত্রের রেখায়। কেউ অভিমানি। কেউবা হারানোর অভিমানে থেকে গেছেন একা। বিয়ের কাছে সমর্পিত হননি তারা।

এস এম সুলতান। আহমদ ছফা। সুলতানের সাধনাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার কৃতিত্ব দাবি করতেন ছফা। তবে একটা জায়গায় এসে দুই মহান সাধকের অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুই জনই যাপন করেছেন কুমার জীবন। ছিলেন বহেমিয়ান। ছুটে চলাতেই খুঁজেছেন জীবনের আনন্দ। ছফার লেখা গান অমর হয়েছে ফকির আলমগীরের কণ্ঠে-ঘর করলাম নারে আমি, সংসার করলাম না।

বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খান। দাদা ভাই নামেই যিনি পরিচিত। স্বাধীনতা আর স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম এই সংগঠক বর্তমানে অনেকটা নিভৃতে জীবনযাপন করছেন ঢাকায়। থাকেন কলাবাগানে ভাড়া বাসায়। বিয়ের বন্ধনে নিজেকে আবদ্ধ করেননি। একা একাই কাটিয়ে দিচ্ছেন জীবন। এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়- হেলাল হাফিজের এই কবিতা ঝড় তুলেছিল লাখ লাখ তরুণের মনে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে তার স্থান অক্ষয় করে দেয় কবিতা সংকলন- ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি হেলাল হাফিজ সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবেও বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। ১৯৪৮ সালের ৭ই অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন কবি হেলাল হাফিজ। সেই হিসেবে প্রায় ৬৯টি বসন্ত পার করেছেন তিনি। তবে, চিরকুমারই রয়ে গেছেন কবি হেলাল হাফিজ।

সরকারি দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন তিনজন চিরকুমারী। তারা হলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। তাদের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠজনদের মতে আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে দলের রাজনীতি করতে গিয়ে বিয়ে, সংসার করা হয়ে উঠেনি তাদের।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন সামনের সারিতে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে চমকে দেন সবাইকে। পরে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জরুরি জমানার সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন সাহারা খাতুন। জীবনের ৭৪টি বসন্ত পার করেছেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক। কিন্তু চিরকুমারী হিসেবেই রয়ে গেছেন সাহারা খাতুন।

আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত হন। ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রী সংসদ ও এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। তিনি জানান, তার মাথার চুল দেখতে অনেকটা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চুলের মতো। ইডেন কলেজে পড়াকালিন সময়ে বঙ্গবন্ধু তাকে বাংলার ইন্দিরা বানানোর কথা বলেছিলেন। ওই সময় থেকে তার (ফজিলাতুন্নেসা) নামের সঙ্গে ‘ইন্দিরা’ নামটি যুক্ত হয়ে যায়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একজন গবেষক হিসেবেও দায়িত্ব পালনকরছেন ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, রাজনীতি ও গবেষণা নিয়ে তিনি এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, বিয়ে- সংসার করা হয়নি। এ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, বিয়ে নিয়ে তখনো ভাবিনি, এখনো ভাবি না। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো।

একই দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অধ্যয়নের সময় থেকে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ঢাবি’র শামসুন্নাহার হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। এছাড়া আশির দশকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৫ সালে অবসরে যান শামসুন নাহার চাঁপা। পরে গত বছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন তিনি। তার দলের মতাদর্শীরা জানান, রাজনৈতিক ও পেশাগত কর্মব্যস্ততার কারণে তার আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি।

জয়নাল হাজারী। বাংলাদেশের বহুল আলোচিত একটি নাম। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরের বেশি সময় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখন ঢাকায় অনেকটা নিভৃতে জীবনযাপন করছেন। সম্পাদনা করছেন ‘হাজারিকা প্রতিদিন’। তিনি এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রকাশক। রাজনীতিতে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় তুললেও ব্যক্তিগত জীবনে জয়নাল হাজারী ‘চিরকুমার’। আর বিয়ে না করার পেছনে ‘বিজু’ নামের এক তরুণীর সঙ্গে জয়নাল হাজারীর বিচ্ছেদের কাহিনীর কথা মুখে মুখে। তিনি তার নিজের লেখা বইতেও বিজুকে নিয়ে লিখেছেন। তার লেখা ‘বিজুর বিচার চাই’ গ্রন্থটি ব্যাপক আলোচনায় এসেছিল।

বিয়ে না করার বিষয়ে জয়নাল হাজারী বলেন, এটা আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনো ‘গ্যাপ’ নয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যদি বলি অনেক বাম রাজনীতিক যারা কমিউনিস্ট বা কংগ্রেস পার্টি করতেন তারা বিয়ে করেননি। আর বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যদি দেখি পৃথিবীর অনেক দার্শনিক, বিজ্ঞানীও বিয়ে করেননি, বিয়ে নিয়ে চিন্তাও করেননি। বিয়ে হলো কি হলো না, চিরকুমার থাকলাম কি থাকলাম না-এটি রাজনীতির কোনো বাধাও নয়, পরিপূরকও নয়। তিনি বলেন, আমার যখন বিয়ের বয়স তখন আমি সেই ’৬৯, ’৭০, ’৭১-এর উত্তাল সময়ে ছিলাম। তখন প্রেম, বিজু ও বিয়ে নিয়ে চিন্তা করার সময় ছিল না। এরপর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে ছয় মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাই। আসলে আমার জীবনটা সবসময় বিপদসঙ্কুল মুহূর্ত পার করেছে। ফলে বিয়েটা আর করা হয়নি। বিজু প্রসঙ্গে জয়নাল হাজারী বলেন, বিজুকে নিয়ে আমি অসংখ্য গল্প লিখেছি। বিজু বাস্তব। কিন্তু বাস্তবের যে বিজু সেই বিজুকে যেভাবে আমার গল্পে চিত্রায়িত করা হয়েছে সেভাবে কোনোদিনই ভালোবাসিনি। এটি আগাগোড়াই কাল্পনিক।

সমাজতন্ত্রের ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী বাম রাজনৈতিক দল বাসদ (বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল)। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে চারজনকে নিয়ে। দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ বাকি তিন সদস্য হলেন- রাজেকুজ্জামান রতন, বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জাহেদুল হক মিলু। মজার তথ্য হচ্ছে, এই চারজনের কেউই এখনো বিয়ে করেননি। এমনকি ভবিষ্যতে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করবেন, সেই সম্ভাবনাও প্রায় শূন্যের কোঠায়। কেননা, এরই মধ্যে এই দলের নেতাদের কারও কারও বয়স ষাটের কোঠা পেরিয়েছে। বাসদের নিয়ম অনুযায়ী নেতারা তাদের ব্যক্তিগত সহায় সম্পদ দান করে দিয়েছেন দলের নামে।

ব্যক্তিগত ঘর-সংসারের পরিবর্তে রাজধানীর তোপখানা রোডে তারা নিজেরাই গড়ে তুলেছেন ‘পার্টি হাউজ’। এখানেই কাটাচ্ছেন তাদের ‘ব্যাচেলর’ জীবন। দলটিকে অনেকেই আখ্যায়িত করেন ‘ব্যাচেলর পার্টি’ কিংবা ‘চিরকুমার পার্টি’ হিসেবে। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা আলাপকালে জানান, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত সম্পদ থাকার নিয়ম না থাকলেও দলের পক্ষ থেকে বিয়ে, সংসার, পরিবারের বিষয়ে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। যে কেউ চাইলে তা করতে পারেন। তবে, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, তাদের বেশিরভাগ নেতাই বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। এখনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সক্রিয় আছেন। এক অর্থে রাজনৈতিক ব্যস্ততার রাজনীতির জটিল ঘূর্ণাবর্তের কারণেই তারা বিয়ে ও সংসার জীবন শুরু করতে পারেননি।

বাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ রাজনীতিক খালেকুজ্জামান। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকও তিনি। রাজনীতি ও টেলিভিশনের পরিচিত মুখ খালেকুজ্জামান এখনো ব্যাচেলর জীবনযাপন করছেন। দলের নিয়ম অনুযায়ী তার যাবতীয় সম্পদ দান করে দিয়েছেন দলের নামে। এমনকি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো ও লেখালেখি করে উপার্জিত অর্থও দিয়ে দেন দলের নামে। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান খালেকুজ্জামান ভবিষ্যতে সংসার জীবন শুরু করবেন সেই সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। তার রাজনৈতিক অনুসারীদের মতে দলই তার সংসার, পরিবার। দলকে ভালোবেসে রাজধানীর তোপখানা রোডের দলীয় কার্যালয়কেই তিনি সংসার মনে করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ বিয়ে না করলেও মাঠ পর্যায়ে বেশিরভাগ নেতাকর্মীই বিয়ে-সংসার করছেন। বিয়ে- সংসার করা যাবে না-এরকম কোনো বিধি-নিষেধ দলে নেই। নিজেদের রাজনৈতিক আদর্শ ও সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হলে বিয়ে করতে কোনো বিধি- নিষেধ নেই। তার নিজের বিয়ে না করা প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। তাই রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে বিয়ে-সংসার করা হয়নি। তাছাড়া বিয়ে করার জন্য সহযোগিতার মনোভাবসম্পন্ন কোনো নারীও তিনি খুঁজে পাননি বলে জানান।

বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। তার অন্য ভাইবোন সবাই সংসার জীবন কাটালেও তিনি এখনো ‘ব্যাচেলর’। ‘চিরকুমার’ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। বলেন, বিয়ে না করা আমাদের কোনো প্রতিজ্ঞা নয়। জীবনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিয়ের কোনো বিধি-নিষেধ নেই। রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্ককে আমরা গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার ক্ষেত্রে সময় একটি ফ্যাক্টর। যেটি আমার বেলায় হয়ে ওঠেনি। আর বিয়ের ক্ষেত্রে মনের মিলই হলো আসল মিল। একই সুরে দুজনকেই গান গাইতে হবে। দুজনের মনের মিল না হলে বিয়ে-সংসার হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও রাজনৈতিক সংগ্রামের জটিল ঘূর্ণাবর্তে পড়ে বিয়ে- সংসার আর করা হয়নি।

একই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজও যৌবন পেরিয়েছেন বহু আগেই। তবে, স্ত্রী, সন্তান সংসারের প্রয়োজন অনুভব করেন না তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বজলুর রশিদ ফিরোজ রাজনীতি ও কর্মব্যস্ততার কারণেই বিয়ে করেন নি বলে জানান তার অনুসারীরা। একই অবস্থা বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য জাহেদুল হক মিলুরও। তিনিও এখন পর্যন্ত বিয়ে-সংসারের প্রয়োজন অনুভব করেননি। এমজমিন

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর