সেচ অভাবে অনাবাদি ২ শতাধিক বিঘা জমি

সেচ অভাবে চলতি মৌসুমের প্রায় ২শতাধিক বিঘা জমি অনাবাদী রয়েছে। ফলে এই নলকূপের আওতাধীন প্রায় শতাধিক চাষি এবার ধান চাষ হতে বঞ্চিত হয়েছে।

নলকুপ মালিক উপজেলা পাড়োরা গ্রামে মৃত ইসমাইল কবিরাজের ছেলে আব্দুস সামাদ কবিরাজ (৪৫)। মাটি সরবরাহ হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটায়। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকারে জানা যায় ,বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গত ৪৩ বছর ধরে জিজেল চালিত নলকুপের মাধ্যমে এই চাষিরা বোরো ধান চাষাবাদ করে আসছে।

নলকুপের আশেপাশে থাকা প্রয় ২৫০ বিঘা জমি এই নলকূপের মাধ্যমে চাষাবাদ হত। ব্যক্তিগত মালিকানায় এই নলকুপ থাকায় বিঘা প্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার পাঁচশতটাকা মূল্যে সেচ দিত। খরচ বেশী হলেও চাষিরা নিরুপায় হয়ে এই নলকুপে ধান চাষ করে। চলতি মৌসুমেও চলে ধান লাগানোর যথায়থ প্রস্তুতি। বীজও বপন করে অনেক চাষি। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানা নলকুপ নষ্ট হয়েছে বলেও মাটি কাটার জন্য ড্রেনকাটা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে এখনো সেচ চালু হয়নি। এর ফলে এসব জমি অনাবাদী পরে আছে। বিপাকে পরেছেন চাষিরা।

ভূক্তভোগিরা জানান, এই নলকুপের অদূরে দুই পাশে বরেন্দ্রে অধিনে আর দুটি নলকুপ আছে। এই দুইশত ৫০ বিঘা জমির মধ্যে কিছু জমিতে পাশে থাকা নলকুপ দুটো পানি সরবরাহ করছে। কিছু জমি নিজেস্ব উদ্যোগে শ্যালোমেশিন দ্বারা চাষ হচ্ছে। এই গ্রামে গোলাম মস্তফার ১৫কাটা, বাচ্চুর ১বিঘা, উজ্জ¦লেরে ২বিঘা, জমি সহ অনেক চাষির একই অবস্থা। অনেক চাষি আছে যারা শুধু মাত্র এই নলকুপের অধিনে থাকা বোরো ধানের জমি উপরে নির্ভরশীল। তাদের ঘরে এবার ধান উঠবে না। ধান রোপনের জন্য বপন করা বীজ গরু দিয়ে খাওয়াছেন।

অবস্থা যখন এমন তখন সুযোগে সদ্বব্যবহার করছেন ইট ভাটা মালিকরা । চলছে মাটি খননের কাজ। মাটি সরবরাহ হচ্ছে ইট ভাটায়। যা কৃষি জমির জন্য হুমকি স্বরুপ। এবিষয়ে নলকুপ মালিক আব্দুস সামাদ জানান ড্রেন কাটতে না পারায়, এবার নলকুপ চালু করা সম্ভব হয়নি। জমি নিচু হয়ে যাওয়ায় ড্রেন কাটতে পারিনি।

স্থানীয় ইউপি: উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিষয় সত্যতা স্বীকার করে প্রতিনিধি কে জানান, এ বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসার কে জানিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। উপজেলা ইট ভাটায় মাটি সরবরাহ ও নলকুপ নষ্ট থাকার কারণে এটা হয়েছে।

এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, নলকুপের বিষয়টি বরেন্দ্র অফিস আর মাটি কাটার জন্য বিষয়টি সহকারী ভূমি কমিশনারের সাথে আলোচনা করতে পারেন। সহকারী ভূমি কমিশনার সুজিত দেবনাথ জানান, মাটিকাটার জন্য জমির মালিককে জিজ্ঞাসা করেন। তারা মাটি বেঁচলেন কেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর