রাজাঝির দীঘি। ঐতিহাসিক এক স্থান। ১৮৭৫ সালে ফেনী মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে তার সদর দফর গড়ে তোলা হয় এই দীঘির পাড়ে। বর্তমানে ফেনী সদর থানা, ফেনী কোর্ট মসজিদ, অফিসার্স ক্লাব, জেলা পরিষদ পরিচালিত শিশু পার্কসহ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে দীঘির পাড়ে। এ দীঘিটি ফেনীর ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের একটি।
জনশ্রুতি আছে ত্রিপুরা মহারাজের প্রভাবশালী একজন রাজা তার কন্যার অন্ধত্ব দূর করার মানসে প্রায় ৫/৭ শত বছর পূর্বে এ দীঘি খনন করে। ১০ একরেরও বেশি জায়গাজুড়ে দিঘিটি ১৯৮৮ সাল থেকে তিন বছর মেয়াদে মাছচাষের জন্য ইজারা দেয়া হয়। ফেনী জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রায় দেড়শ’ বছর আগে এ দিঘির পাড়ে গড়ে ওঠা প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো ১৯৮৪ সালে ফেনী জেলা হওয়ার পর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
ফেনী রাজাঝির দিঘীর সৌন্দর্য বর্ধন ও ওয়াকওয়ে স্থাপনের জন্য চার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে রাজাঝি দিঘীর পাড়ে প্রাচীর, মানুষের হাঁটা-চলার জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণ ও চারপাশের বাগান তৈরি করা হবে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান জানান, ফেনী রাজাঝির দিঘীর সৌন্দর্য বর্ধন ও ওয়াকওয়ে স্থাপনের জন্য চার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দিঘীটি অবৈধ দখলের কারণে শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ৪ কোটি টাকা দিয়ে দিঘীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফেনী পৌরসভা এর কাজ শুরু করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে রাজাঝি দিঘীর পাড়ে প্রাচীর, মানুষের হাঁটা চলার জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণ ও চারপাশের বাগান তৈরি করা হবে।
উল্লেখ, গত শনিবার প্রশাসন দুই শতাধিক অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ করে দিঘীর পাড় দখল মুক্ত করে।