গভীর রাতে মানুষ চলাফেরা করবে কিন্তু ছিনতাই হবে না

রাজধানীতে গভীর রাতে মানুষ রাস্তায় চলাফেরা করলেও ছিনতাইয়ের শিকার হবেন না- এমন পরিবেশ তৈরির জন্যই পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ডিএমপি এমন পরিবেশ তৈরি করবে, ঢাকা মহানগরীতে গভীর রাতে মানুষ হেঁটে যাবে কিন্তু ছিনতাইয়ের শিকার হবে না। মেয়েরা স্কুল-কলেজ, কর্মস্থলে যাবে কিন্তু উত্যক্তের শিকার হবে না। আমরা তার অনেকটাই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি।

আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ’

‘রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না’-এ কথা উল্লেখ করে ঢাকা মহানগরীর পুলিশপ্রধান বলেন, ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শুধু গুলশান বা বনানী নয়, রাজধানীজুড়ে কয়েক হাজার ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে অপরাধ ঘটলে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সুবিধা হয়।

ডিএমপি কমিশনার আরো জানান, জনগণের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে এবং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বছর ১৭ জন পুলিশ নিহত এবং ৫৫ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। আর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জঙ্গিদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, রাজধানীতে ২২ লাখ ভাড়াটিয়া ফরম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য পুলিশের ডাটাবেজে জমা হয়েছে, যাতে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। তাই কেউ অপরাধ করে যদি ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। আর এই বিষয়ে প্রত্যেক বাড়িওয়ালা এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তারা পুরো যাচাই না করে কাউকে বাসা ভাড়া দিচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশানার মো. মিজানুর রহমান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর