রোজার ক্লান্তি দূর করতে ইফতারে খেজুর

পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের দশক চলছে। রোজাদারের ইফতারে খাবারের তালিকায় খেজুর থাকবে না এটা তো হতে পারে না। রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর খাওয়া অনেক ভালো। এই খাবারটির নানা গুণ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, বছরে যতগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুণ রয়েছে। তাই রোজা রাখার পর এটি খাওয়া অনেক বেশি জরুরি।
ইফতারে খেজুর শুধু ক্লান্তিই দূর করে না, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনেরও জোগান দেয়। তাই প্রতিদিনের ইফতারিতে আমাদের এই খাবারটি রাখা উচিত।
জেনে নেয়া যাক ইফতারে খেজুর খাবেন কেন-
খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক উপকারীগুণ। এগুলো হলো-
# খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়।
# খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
# হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী।
# খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী।
# হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক।
# রুচি বাড়ায়।
# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
# দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
# ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।
# অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে প্রসব হতে সাহায্য করে। এমনকি প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
# খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয়।
খেজুর অতি পরিচিত একটি মিষ্টি মধুর ফল। যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিনের ইফতার তালিকায় প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি করে খেজুর রাখুন। ইফতারে খেজুর খান, সুস্থ থাকুন।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর