প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কবিতা

দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম একজন নারীকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। গতকাল ঘোষিত নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্য করা হয়েছে বেগম কবিতা খানমকে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। প্রায় ৩১ বছর তিনি বিচারাঙ্গনে সেবা দিয়েছেন।

কবিতা খানমের বাড়ি নওগাঁয়। তাঁর স্বামীও বিচারক। ২০১১ সালে তিনি মারা যান। ২০১৩ সালে কবিতা খানম অবসরে যান। সর্বশেষ তিনি রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দেশে এ পর্যন্ত ১১ বার নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ১১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ২৩ জন দায়িত্ব পালন করেছেন কমিশনার হিসেবে।কিন্তু এবারই প্রথম কোনো নারীকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করা হলো।

নারী নেতৃত্বের ধারায় বাংলাদেশে অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদের উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা এবং রাজপথের বিরোধী দলের প্রধান নারী।এবার এর সঙ্গে যুক্ত হলো নির্বাচন কমিশন সদস্য।

নির্বাচন কমিশনে নারী সদস্য থাকার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের মতে, এতে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকেই একজন নারী কমিশনার নিয়োগের দাবি জোরালো হতে থাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও জানানো হয় এই দাবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগেই জানিয়েছিলেন একজন নারী কমিশনার নিয়োগের কথা।

সোমবার রাতে গঠন করা হয় নতুন নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতির আদেশের পর রাতেই প্রকাশ করা হয় এ সংক্রান্ত গেজেট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে কে এম নুরুল হুদাকে। কবিতা খানম ছাড়া বাকি তিন কমিশনার হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম এবং সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর