ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ পণ্য পাচার করলেই দণ্ড

বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ ও তা থেকে উৎপাদিত পণ্য এখন থেকে রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ও গবেষণা লব্ধ ফল নিজের অধিকারে সংরক্ষণ বা পাচার অথবা বিদেশে হস্তান্তর করা যাবে না এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বিল ২০১৭’ শীর্ষক আইনটি পাস করেছে জাতীয় সংসদ। বিধিভঙ্গে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের ওপর আনিত সব জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে নাকচ হয়ে যায়।
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজের বাণিজ্যিক ব্যবহারের ব্যাখ্যায় আইনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জীব সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি বা উৎপাদন যেমন, ঔষধ, শিল্পের এনজাইম, খাদ্য ও দেহে ব্যবহার্য সুগন্ধি, রঙ, প্রসাধনীসহ প্রাণীসম্পদের কৌশলগত পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অন্য জীব থেকে নির্যাস বা জীন সংগ্রহ। এ আইনের মাধ্যমে জীব সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। ফলে রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া এখন থেকে কোনো দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত দেশিয় জ্ঞান বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ও গবেষণা লব্ধ ফল এককভাবে নিজের অধিকারে সংরক্ষণ বা পাচার কিংবা বিদেশে হস্তান্তর করতে পারবেন না।
তবে নিত্য-প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হিসেবে বিপণন হয়ে থাকে এমন জীব সম্পদকে এ আইনের আওতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনে রামসার কনভেনশন অনুযায়ী জলাভূমি ঘোষিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্যসমূহের উপর বিরূপ প্রভাব ফেললে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। একইসঙ্গে সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে জড়িত ব্যক্তিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।
কোনো প্রতিষ্ঠানের অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে জড়িত থাকলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। এ আইনের অপরাধ বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর