ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন টিউলিপ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হওয়া যাওয়ার (বেক্সিটের) সমর্থনে একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে বলায় যুক্তরাজ্যের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দলের নেতা জেরেমি করবিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অফ উইথড্রয়াল) বিল বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিলটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা আর্টিকেল ফিফটি (৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ) নামেও পরিচিত। মঙ্গলবার ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন থাকতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সরকার। সরকারি দলের আনা বিলটিকে সমর্থন করার জন্য এমপিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। কিন্তু বিলের পক্ষে সমর্থন দিতে পারছেন না টিউলিপ সিদ্দিক, আর তাই তিনি ছায়া শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

পদত্যাগ পত্রে টিউলিপ উল্লেখ করেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার বিষয়টি আমার নির্বাচনীয এলাকায় বিশাল অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে,যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ইউনিয়ন ছেড়ে আসার বিষয়টি সম্ভাব্য সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি তৈরি করবে।’’

তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় পরিষ্কার…হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নে আমি ওয়েস্টমিনস্টারের প্রতিনিধিত্ব করি না, আমি ওয়েস্টমিনস্টারে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের প্রতিনিধিত্ব করি। পেছনের কাতারে থেকে থেরেসা মে’র কঠোর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করাই আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে আমি মনে করি।’

তিনি লিখেছেন, ‘আর্টিকেল ফিফটির ওপর থ্রি লাইন হুইপ ভোটের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বছরের শুরুতেই সামনের সারিতে ছায়ামন্ত্রী হিসেবে আমার যে ভূমিকা সেখান থেকে পদত্যাগ ছাড়া অন্য কিছু আমি ভাবতে পারছি না।’

প্রসঙ্গত, গত বছর জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় ব্রিটিশ জনগণ। গণভোটে এই ফলের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা থেরেসা মে। আগামী মার্চের শেষ নাগাদ লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটির আওতায় ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।সরকার যাতে আর্টিকেল ফিফটি প্রয়োগ করতে পারে সেজন্যই পার্লামেন্টে বিলটি তোলা হয়েছে চলতি সপ্তাহে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর