আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ কাস্টমস এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এ বছর আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- উধঃধ অহধষুংরং ভড়ৎ বভভবপঃরাব ইড়ৎফবৎ গধহধমবসবহঃ, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।

কাস্টমস বৈদেশিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দেশের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য ও ট্যারিফ উদারীকরণ এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের পাশাপাশি চোরাচালান রোধ, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কাস্টমস নিরলসভাবে কাজ করছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্যিক পরিবেশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জালজালিয়াতি বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে কাস্টমকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

এসব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দেশে দেশে কাস্টমস প্রযুক্তি ও লজিস্টিকসভিত্তিক সমাধানের পথ খুঁজছে। বাংলাদেশ কাস্টমস এর কার্যক্রমে আধুনিকায়নের জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে ডিজিটাইজেশন যেমন-এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড, ন্যাশনাল সিংগেল উইন্ডো (ঘঝড) ইত্যাদি বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে জেনে আমি আনন্দিত।

বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কাস্টমস কার্যক্রমের অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই। আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের তথ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উপাত্তের যথাযথ ঝুঁকি নিরূপণপূর্বক বৈদেশিক বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত, অপবাণিজ্য রোধ ও বাণিজ্য উদারীকরণ এবং গতিশীল করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর আলোকে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাস্টমসের আধুনিকীকায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

আমি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর