জীবনের ঝুঁকিতে ২২ জেলার মন্ত্রী-এমপিরা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে নিজ বাড়িতে হত্যার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গেল বছরের শেষ দিন এ হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত পুলিশ ও গোয়েন্দারা কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা ২২ টি জেলার ঝুঁকিপূর্ণ মন্ত্রী-এমপিদের তালিকা তৈরি করেছে।

উৎপল দাস :গোয়েন্দা সংস্থার ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হচ্ছে- রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, পাবনা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও নীলফামারী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য লিটন খুন হওয়ার পর জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত ২২ জেলার সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিদের কাছে বিশেষ বার্তাও পাঠানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সংসদ সদস্যদের সার্বক্ষণিক দেহরক্ষীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশি তৎপরতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সংসদ সদস্যের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

এমনকি, জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত বৃহত্তর রাজশাহীর তিন জেলার সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, এক সময় বাগমারা সর্বহারা ও জেএমবির ঘাঁটি ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জেএমবি ও সর্বহারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্তরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এখন বাগমারায় বিভিন্ন দল, মত ও ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। এরপরও কোনো গোষ্ঠী যদি এ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নাশকতার পরিকল্পনা করে, তবে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী বলেন, শিবগঞ্জ-কানসাটের মাটিতে জামায়াত-শিবির আর তাণ্ডব চালাতে পারবে না। সেই চেষ্টা করলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জীবনবাজি রেখে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হবে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান বলেন, আওয়ামী মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে। সব দেশেই উন্নয়নবিরোধী নাশকতাকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব অপচেষ্টা রুখে দিয়েছেন। তারপরও পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের সতর্কতামূলক উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর