ইংরেজি বছর তো, তাই হ্যাপি নিউ ইয়ার: প্রধানমন্ত্রী

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে সবাইকে হ্যাপি নিউ ইয়ার। ইংরেজি বছর তো, তাই ইংরেজিতে বললাম।’

গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে শনিবার প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এভাবেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।

১ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপিত হবে। এর অংশ হিসেবে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে আ.লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি একদিনে সব হয়ে যায় না। সেজন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা চাই সব ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা দেবে, এ জন্যই পঞ্চম-অষ্টমের পরীক্ষা ব্যবস্থা। অথচ এই দুই পরীক্ষা নিয়েও অনেকে কথা বলেন। বাংলাদেশে পড়াশোনার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা আগে ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিন, তারপর কথা বলুন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, পিইসি-জেএসসির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কমছে। এতে করে তাদের মধ্যে সাহস জন্মাচ্ছে। দিন দিন রেজাল্টও ভালো হচ্ছে, পাসের হারও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন ক্লাস থেকে কিছু ছেলে-মেয়ে বেছে, তাদের প্রস্তুত করা হতো বৃত্তির জন্য। তাদের ভালো টিফিন দেওয়া হতো, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সেটি পেতো না। বৃত্তির জন্য শিক্ষকরা যাদের বাছলেন না, তাদের মধ্যেও তো মেধাবী থাকতে পারে। কেউ বৃত্তি পাবে, বাকিরা বঞ্চিত থাকবে- এই পদ্ধতি ঠিক করতেই পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা।

উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০১৭ উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৩১টি বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী যোগদান করবে। জানা গেছে, সরকার ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করবে।

সারাদেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন ইবতেদায়ী, দাখিল, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ৬০ লাখ ১ হাজার ২৪টি ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪টি গাইড বই তৈরি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর