জিএম ও ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেছেন সিবিএ নেতারা

রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকে এবার স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও উপমহাব্যবস্থাপককে (ডিজিএম) লাঞ্ছিত করেছেন ব্যাংকটির কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতারা। সিবিএর নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্থানীয় শাখায় যোগদানের প্রতিবাদে তাঁদের লাঞ্ছিত করে মোস্তাক-কাবিলের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি। এ ঘটনায় রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগেও একই পক্ষের দ্বারা ব্যাংকটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তবে কোনো বিচার হয়নি। এ ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার ব্যবস্থাপক।

যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন ডিএমডিকে প্রধান করে তদন্ত করা হবে। ব্যাংকে এসব চলতে পারে না।’
লিখিত অভিযোগ ও ব্যাংকটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির সিবিএর সবশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অফিস সহকারী মহিউদ্দিন।

তবে বর্তমানে ব্যাংকটিতে সিবিএ কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছে মোস্তাক-কাবিল গ্রুপ। তাঁদের নেতৃত্বেই ব্যাংকটিকে বিভিন্ন অপকর্ম করছেন সিবিএ কর্মীরা। গতকাল ব্যাংকটির আদেশে স্থানীয় কার্যালয়ে যোগ দেন মহিউদ্দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাবিল হোসেন কাজীসহ ১৫-২০ জন দ্বিতীয় তলার স্থানীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় তাঁরা ব্যাংকটির জিএম নুরুজ্জামান, ডিজিএম শওকত আলী খান ও এজিএম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে মহিউদ্দিনের যোগদানের বিষয়ে জানতে চেয়ে গালিগালাজ করেন।

পরে তাঁরা জিএম ও ডিজিএমকে নিজ কক্ষ থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে পঞ্চম তলার প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা জোরপূর্বক হাজিরা খাতা থেকে মহিউদ্দিনের নাম মুছে ফেলে ও জিএম-ডিজিএমকে দিয়ে অনুস্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এরপর থেকেই ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের মধ্যে সিবিএভীতি শুরু হয়।

যোগাযোগ করা হলে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক কাবিল হোসেন কাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সিবিএ নেতা। আমি তো পুরো ব্যাংকেই থাকি। এ ঘটনার সময়ও ছিলাম।’ এটা বলে ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন ধরেননি তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর