কে সেই মন্ত্রী? যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর কপালে সেলাইয়ের দাগ

‘আমার কপালের এ জায়গাটায় এখনও সেলাইয়ের দাগ আছে। কিন্তু তোমরা জান না এ সেলাইয়ের দাগ যার কারণে পড়েছিল তাকেও আমি বর্তমান মন্ত্রিসভায় রেখেছি।’

মঙ্গলবার গণভবনে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির আলাপচারিতায় উঠে আসা প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য একটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

কে এই মন্ত্রী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বহু মানুষ প্রশ্ন? কিন্তু জবাব দেয়ার কেউ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুখও বন্ধ। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাদের একটি বড় অংশই জানিয়েছেন, এ নিয়ে কথা বলবেন না। কেউ কেউ কথা বললেও একেকজন একেক কথা জানিয়েছেন। তাদের সবাই আবার নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন।

ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানা যায় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে মেয়র

পদে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করতে বলেন। জবাবে শামীম ওসমান বলেন, এটা তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব। তার দাবি, আইভী তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এমনকি মায়ের কবর নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। এগুলোও তিনি মুখ বুঁজে সহ্য করেছেন। কিন্তু আইভী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন অভিযোগ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘যখন আপনাকে উদ্দেশ করে বিরূপ মন্তব্য করেন তখন আমি স্থির থাকতে পারি না। কারণ আমি আসলে হাসিনা লীগ করি।’

শামীম ওসমানের বক্তব্য শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শামিমকে বলেন, তুমি মোট ৪১ মিনিট কথা বলেছ। তোমার দীর্ঘ বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। তুমি জেনে রাখ, আমি নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠর মতোই বিষ পান করেও তা হজম করতে পারি। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী তার কপালের ওপর থেকে চুল সরিয়ে ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলেন, আমার কপালের এ জায়গাটায় এখনও সেলাইয়ের দাগ আছে। কিন্তু তোমরা জান না এ সেলাইয়ের দাগ যার কারণে পড়েছিল তাকেও আমি বর্তমান মন্ত্রিসভায় রেখেছি। কারণ আমি ব্যক্তিগত লাভের জন্য রাজনীতি করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। যেটা করেছিলেন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় পড়ে যায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি এবং উৎসুক বহু মানুষ সেই মন্ত্রীর পরিচয় প্রকাশের অনুরোধ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

অনেকে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্লিজ ওই নেতার নাম বলুন। যার কারণে আপনার কপালে দাগ! আবার আওয়ামী লীগের সমর্থকরা জানতে চান, ‘আমরা আপাকে নীলকণ্ঠ হিসেবে দেখতে চাই না। মোশতাকদের ক্ষমা নয়। কঠিন শাস্তি দিতে হবে। নীলকন্ঠীর কপাল কাটা মন্ত্রী সাপ কেমন আছ গো তুমি…? মন্ত্রীসাপ আর ইনশাল্লাহ খোলস বদলাতে পারবে না।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর