জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধী

জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেছেন, মকবুল যে রাজাকার ছিলেন সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে এতোদিন অভিযোগ ছিল না। একটি অনলাইনে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে যাই। এখনও প্রাথমিক তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।

সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান খান এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের আমির হওয়ার সঙ্গে তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজকার ছিলেন সেটা স্পষ্ট। এটা আমাদের কাছে সুনির্দষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। একটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমরা তদন্ত সংস্থা থেকে অনুসন্ধান শুরু করি। তারপর আমাদের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা ফেনীতে গিয়ে তদন্ত করেন। মকবুল আহমাদে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে তদন্ত চ‍ূড়ান্ত করেছেন সংস্থাটি।

ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই মিয়া (৬৪), আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল (৬৪) ও আব্দুল মতিনের (৬৩) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ চূড়ান্ত হয়। ইতোমধ্যে ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বে ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে শপথ নেন মকবুল আহমাদ। তিনি জামায়াতে নির্বাচিত তৃতীয় আমির হলেন। দলটির নির্বাচিত প্রথম আমির গোলাম আযম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড ভোগকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারাগারে মারা যান। একই অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর