কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন…… রাষ্ট্রপতির অনুসারীরা খুশ মেজাজে

হাওর বার্তা বিশেষ রির্পোট : কিশোরগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তৎপরতা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে। বিশেষ কৌশলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নানা কৌশলে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না। ভেতরে ভেতরে চলছ বিভিন্ন লবিং তৎবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

একই সঙ্গে দলীয় সমর্থন পেতে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অনেকে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

অপরদিকে, জেলার কাউন্সিল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড এখনও মুখ খুলছে না। তাই স্থানীয় নেতারা এ বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছেন। আগামী ২৮ডিসেম্বরের দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানকে। তিনি মহামান্যর আস্তাভজন হলেওে জেলার কাউন্সিল নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।তাই আবদুল হামিদের অনুসারীরা তার প্রতি নাখোস। এছাড়া তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এখন পযন্ত তার বি এন পির লোক দিয়ে টেন্ডার ড্রপ করিয়েছেন বলে অনেক নেতা কর্মী অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কিশোরগঞ্জ ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্টের দ্বায়িত্ব কৌশেলে নেওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এবার নতুন মুখ চায় বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
তিনি এখনো প্রশাসক পদে বহাল আছেন। তবে নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তফসিল ঘোষণার আগে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কাণ্ডারি ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ। তার একান্ত আস্তা ভাজন বিসস্ত হিসেবে পরিচিত এ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক। তিনি বর্তমানে নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন বলে শুনা যায়।বর্তমানে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটরের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রতি বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের অনুসারীরা ঝুকে আছেন বলে জানা যায়। অনেক নেতা কর্মীরা বলেন রাষ্ট্রিাপতির আস্তাভাজন হওয়ায় শাহ আজিজুল হক এগিয়ে আছেন বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। রাষ্ট্রপতির অনুসারীরা মেজাজে ফুরফুরে আছেন তাঁর অনুসারীরা।
জেলা বর্তমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর আসনের এমপি জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দেশে না থাকায় তার অনুসারীরা এ নির্বাচন নিয়ে অনেকটা হতাশ। তাই কিশোরগঞ্জের রাজনীতি ভিন্ন হবে বলে ধারণা করে তার অনুসারীরা। তবে তার চাচাতো ভাই মু্ক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের আহবায়ক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও নির্বাচনে ভাল অবস্থানে।
এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম এ আফজল ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা যায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর