আ.লীগ দয়া করলে ১০ আসন পেতে পারে বিএনপি

২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দয়া করলে বিএনপি ১০টি আসন পেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ফরিদপুরের মধুখালী ঈদগাহ মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়গা পাওয়া আবদুর রহমানকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল করা হলো, অথচ ভয়ে তাদের পাঁচজন লোক রাস্তায় মিছিল করতে পারলো না। তারাই আবার আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়।

বিএনপির সাবেক চিপ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক পুলিশের ভয়ে গায়ের কাপড়-চোপড় ফেলে দৌঁড়ে পালিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিম ও মতিয়া চৌধুরী পুলিশের মার খেয়েও না পালিয়ে রাস্তায় শুয়ে ছিলেন- এটাই আন্দোলন। ছাত্রলীগের পাঁচজন লোক রাস্তায় নামলে ভয়ে দৌঁড়ে পালাবেন। আর আপনারা আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটাবেন?

কুপি জ্বালিয়ে সূর্যকে আলো দেখানো যেমন হাস্যকর, তেমনি আন্দোলনের মাধ্যমে যে দলের জন্ম তাদের আন্দোলনের ভয় দেখানোও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কাজ করছেন তা নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে। আশা করি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। শেখ হাসিনার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ফরিদপুরবাসী বিগত দিনে একতাবদ্ধভাবে এক মঞ্চে কখনো বসিনি। আজ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আগামী নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসন উপহার দিবো।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এ অঞ্চলে অনেকে আছেন, যারা রাতের অন্ধকারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেন। তাদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল যাকে সমর্থন দেবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে অমান্য করে আত্মীয় স্বজনের পক্ষে কাজ করা যাবে না।

সংবর্ধিত নেতা আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশ্বাস করে, যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব পালনে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করলাম। এ মধুখালীর মানুষ যারা আমাকে বুকে ধারণ করেছে, আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি, তারা তাদের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা এ ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অনেককেই ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে বেইমানি করেছে। একমাত্র আব্দুর রহমান দলের ক্রান্তিকালেও শেখ হাসিনার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।

মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায় প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর