‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল এক বছর

‘একটি বাড়ি একটি খামার’প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে, জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি চলতি বছরের ৩০ জুন মেয়াদ শেষে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অধিভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার মনে করছে এই প্রকল্পটি আরও এক বছর চলা প্রয়োজন। এজন্য আগামী বছরের ২ জুন পর্যন্ত এটি প্রকল্প হিসেবে চালু থাকবে। ওই দিন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকল্পটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অধিভুক্ত হয়ে যাবে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নিয়মিত ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন সচিব। তিনি জানান, বৈঠকে ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬’এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারের `একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি ২০০৯ সালে চালু হয়। সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪০ হাজার ৫২৭টি গ্রামে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলে আসছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সরকার। ব্যাংকের অধ্যাদেশে বলা ছিল যে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩০ জুন থেকে এই ব্যাংকের অধিভুক্ত হয়ে যাবে।

সচিব আরও জানান, আজকের বৈঠকে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন-২০১৬’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এত দিন সামরিক সরকারের আমলের একটি অধ্যাবেশের মাধ্যমে এই বোর্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। এখন এটিকে বাংলা ভাষায় আইন করা হচ্ছে। শুধু এটুকুই পরিবর্তন এসেছে বলে জানান সচিব।

মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে জাতীয় জৈব কৃষি নীতি ২০১৬-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই নীতির বিষয়ে সচিব জানান, ২০১৩ সালের কৃষি নীতির আদলেই একটি জৈব কৃষি নীতি করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য যেন দেশে রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সারের ব্যবহার বেশি হয় তা নিশ্চিত করা।

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সচিব বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি আওতায় আরও ৬৪ উপজেলাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চম ধাপে ২০ জেলা, ষষ্ঠ ধাপে ২০ জেলা ও সপ্তম ধাপে ২০ জেলাকে এই সার্ভিসের আওতায় আনা হবে। এরপর অষ্টম ধাপে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানের চারটি উপজেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এরআগে ৩৭টি উপজেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এই কর্মসূচির জন্য চলতি অর্থবছরে ৫৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালুর অনুমোদনের জন্য এমইউ স্বাক্ষর অনুমোদন করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর