বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি করে লাভ হবে না

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদেশি অতিথি এলেই উনি (খালেদা জিয়া) নালিশ করেন। যারা এতিমের টাকা লুট করে খায়, মানি লন্ডারিং করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, এদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, যুগ যুগ ধরে প্রত্যাখ্যান করবে। বিদেশিদের কাছে যতই কান্নাকাটি করুক তাতে লাভ হবে না।

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান লংঘন করে, সেনা আইন ভঙ্গ করে অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিকভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া নিজে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। তারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতা।যারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে ‘লাখো শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে’ তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কোন গণতান্ত্রিক পথে তৈরি? তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলেন? অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় এসেছে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে; তাদের মুখ থেকে আবার গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। এর থেকে দুঃখের আর কী আছে?

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৫ দিনের মাথায় তারা (বিএনপি সরকার) পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেই নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেয় নাই, শুধু বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টি অংশ নেয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন শেখ হাসিন বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) গণতন্ত্রের ডেফিনেশন জানেন কি না সন্দেহ। গণতন্ত্র বানান করতে বললে সেটাও পারবেন কি না সন্দেহ।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের যে অভিযোগ বিএনপি করে আসছে তা নাকচ করে তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই আজকে মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা পাচ্ছে, মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে, অবকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে, এমনকি আমরা নিজের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণও করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটাই উদ্দেশ্য- মানুষের কল্যাণ, বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন করা। আর আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। দেশপ্রেম এবং জনগণের ভালোবাসা আছে বলেই সফল হয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর