যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংককে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথরিটি (এফসিএ) এ জরিমানা করেছে। খবর বিবিসির।

তবে প্রবাসী-আয় বা রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠাতে ব্যাংকটির কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া সোনালী ব্যাংক যুক্তরাজ্য শাখাকে আগামী ছয় মাসের (২৪ সপ্তাহ) নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এফসিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকটি ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য মুদ্রা পাচার ঠেকাতে পদ্ধতি উন্নত করতে সোনালী ব্যাংককে ২০১০ সালে সতর্ক করেছিল এফসিএ।

কিন্তু এর পরের চার বছরেও ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হয় সোনালী ব্যাংক ইউকে, যার পরিণতি তাদের ভোগ করতে হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংককে জরিমানার পাশাপাশি এফসিএ’র মুদ্রা পাচার নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা স্টিভেন স্মিথকে ব্যাংক খাতে এ ধরনের চাকরিতে নিষিদ্ধ ও ১৮ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ব্রাডফোর্ডে সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখা রয়েছে। তবে ব্রাডফোর্ড শাখাটি সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রবাসীদের সেবা দিতে ও ঋণপত্রের নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ২০০১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করে সোনালী ব্যাংক। এতে সরকারের শেয়ার ৫১ ও সোনালী ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর