মিঠামইনে কলেজের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ছেলে সভাপতিত্ব বাবা প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত সফর সূচি থেকে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি’র বহনকারী হেলিকপ্টারে করে মিঠামইন উপজেলা হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করবেন এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় বিশ্রাম করবেন। বিকেল ৪টার দিকে মিঠামইনে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজের ২৫ বছর পূতি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কলেজের অনুষ্ঠান শেষে মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন।আজ ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় নিজের প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজের ২৫ বছর পূর্তি (রজত জয়ন্তী) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে মিঠামইন আসছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি’র সুযোর্গ ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের দু’দুবারের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এরিই মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)রা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠক শেষে অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি সর্ম্পণ করেছেন। কলেজের মাঠেই তৈরি করা হয়েছে বিশাল এক মঞ্চ। আর মঞ্চের সামনেই তৈরি করা হয়েছে ভিআইপি ও সাধারণ মানুষের বসার স্থান। মঞ্চের চার পাশেই রয়েছে কয়েক স্থরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। শুধু মঞ্চ নয় পুরো মিঠামইন সদর উপজেলাকে নিরাপত্তার ব্যাষ্ঠনিতে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি’র আগমন উপলক্ষে মিঠামইন উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ-উল্লাশের। যে লোকটি দির্ঘ সময় পার করেছেন মিঠামইন উপজেলায়, সেই লোকটি মিঠামইন উপজেলায় হামিদ ভাই নামে পরিচিত। আজ তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্থানে আশিন লাভ করেছেন। এতে করে মিঠামইনবাসী তথা পুরো কিশোরগঞ্জ জেলাবাসী গর্ভিত্ব। এই হামিদ ভাই রাষ্ট্রপতি’র আশিন পাওয়ার পরও ভূলতে পারিনি কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীকে। তার সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার অনেক মানুষ রাজনীতি করেছেন। অনেকে আজও বেঁচে আছেন আবার অনেকে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাদেরকে আজও মনে করেন এই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের সাথে বাকি জীবনটা কেটে দিতে চান এই হামিদ ভাই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর যে এই ভাবে ভেরাজালে বন্ধি হয়ে থাকবেন তা তিনি আগে ভাবেননি। তারপরও চেষ্ঠা করেন এলাকার মানুষের সাথে দেখা-সাক্ষাত করে বাকি জীবনটা পার করতে। তাইতো আজ দুইদিনের সরকারি সফরে ছুটে আসছেন নিজ জন্মভূমি মিঠামনের কামালপুর গ্রামে। দুইদিন সফর শেষে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে মিঠামইন ত্যাগ করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর