শিলংয়ে তাবিথ আউয়াল উঠেছেন সালাহউদ্দিনের কটেজে

তৃতীয়বারের মতো ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আইনি প্রয়োজনে বসবাসরত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেখতে গেলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাবিথ আউয়াল। গত শনিবার রাতে কলকাতা হয়ে তিনি শিলং পৌঁছান। শিলং পৌঁছেই সালাহউদ্দিনের কটেজে উঠেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কলকাতা হয়ে ঢাকায় ফেরেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তার মেয়ে এ লেভেল পরীক্ষা দিচ্ছে এ কারণে কিছুটা সময় দিতেই বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তাই সালাহউদ্দিনের কটেজে এখন সালাহউদ্দিন ছাড়াও তাবিথ আউয়াল, ভাতিজা সাফওয়ান করিম ও রাজু থাকছেন। সালাহউদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রবীণ রাজনীতিবিদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে নবীন রাজনীতিবিদ তাবিথ আউয়ালের আলাপ বেশ জমে উঠেছে। কারণ, জামিনে মুক্তি পেয়ে সালাহউদ্দিন এখন খোলামনে কথা বলতে পারছেন। তাবিথকে কাছে পেয়ে বিএনপির রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এর আগে তাবিথ আউয়াল যখন শিলং যান তখন সালাহউদ্দিন নেগ্রিমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। তাই তার সঙ্গে তাবিথ দেখা করতে পারলেও আন্তরিক পরিবেশে কথাবার্তা হয়নি। এবার সেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। প্রথম দফায় তাবিথ শিলংয়ে যাওয়ার পর পরই তার শাশুড়ি মারা যাওয়ায় ওই দফায় দেখা হয়নি। এর আগে প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর গত ১১ই মে ভারতের শিলংয়ে উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারের পর পুলিশ তাকে আটক করে মানসিক হাসপাতাল মীমহ্যানসে নিয়ে যায়। একদিন পর মীমহ্যানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল নেগ্রিমসে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। ৩রা মে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’ এ দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারা অনুযায়ী বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ২০শে মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহউদ্দিনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে। নেগ্রিমস থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭শে মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ৫ই মে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। জামিন পেয়ে শিলংয়ের একটি ছায়াঘেরা কটেজে কাটছে তার দিন। নেগ্রিমস হাসপাতাল ও প্রয়োজন পড়লে কোর্ট ছাড়া কোথাও যাচ্ছেন না তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর