বাধীনতা পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: ফখরুল

স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এখন তার স্বাধীনতার সম্মাননার পদক ছিনিয়ে নেওয়া হবে, তার সম্মান থাকবে না । দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক সরকার প্রত্যাহার করে নেওয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীয় নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযাগ করে বলেন, সরকারের মন্ত্রিসভা কমিটির এ সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও দুর্ভাগ্যজনক। দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে একত্রিত করেছিলেন।

ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা পদক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। তবে সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এটা কতটা নোংরা কাজ যখন তারা বুঝবে তখন আর শোধরানোর সময় থাকবে না।

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করা হতে পারে— দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের প্রেক্ষিতেই বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করছে, তাতে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আজকে যারা গায়ের জোরে নোংরা ভাবে জিয়াউর রহমানের কীর্তি মুছতে চাইছেন, তারাই একদিন মুছে যেতে পারেন।

ফখরুল বলেন, বিএনপি ২০০৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেন। এটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরম ঔদার্য্যের দৃষ্টান্ত।

এদিকে বিএনপি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবি জানালেও কোনো কর্মসূচি না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে না বলে ঘোষণা দেবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর