নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

রাজধানীর গুলশানে রেস্তোরাঁয় গত শুক্রবার রাতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দায়িত্বরত পুলিশসহ দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হতাহত করার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, বর্বরোচিত ও জঘন্য।

পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট হয়।

বন্দুকধারীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিষ্ঠাবান অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্য শাহাদতবরণ করেন। তারা হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মো. রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন খান। এ ছাড়া এ ঘটনায় ২০ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি পেশাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আইজিপি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা সরকারি দায়িত্ব পালনে যে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও চরম আত্মত্যাগ প্রদর্শন করেছেন তা সত্যিই বিরল। বাংলাদেশ পুলিশ চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের স্মরণ করবে। তাদের এ অনন্য অবদান ভবিষ্যতে প্রতিটি পুলিশ সদস্যের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

দুইজন সহকর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরও প্রতিটি পুলিশ সদস্যের মনোবল দৃঢ় ও অটুট রয়েছে। তারা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল প্রয়োজন ও সংকটকালে জননিরাপত্তা বিধানে আত্মত্যাগ করতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। ভবিষ্যতেও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান এবং যেকোনো অরাজক পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জনগণের জানমাল রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বাংলাদেশ পুলিশ সকল পুলিশি কার্যক্রম বিশেষ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ এবং মিডিয়ার অব্যাহত সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর