হরি নদীতে কাঠের সাঁকো এখন মরণফাঁদ, দুর্ভোগে ২৫ গ্রামের মানুষ

খুলনা যশোর সীমান্তে চেচুড়ী,কালিশাকুল হরি নদীর উপর নির্মিত কাঠের ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ব্রিজের কয়েক স্থানে কাঠের পাটাতন উঠে বড় বড় ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। নিচে লোহার ভিমগুলো মরিচা ধরে ভেঙে হয়ে পড়েছে। ব্রিজের দু’প্রান্তে চেঁচুড়ী, কালিশাকুল, কাটেংগা, কপালিয়া, দহাকুলা, বরুনা, দত্তগাতী, পায়রা, বাড্ডাগাতি, জামিরা গ্রাম সহ দু জেলার প্রায় ২০-২৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষক, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা যানবাহন নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় থাকায় ব্রিজের বিভিন্ন অংশ মরিচা ধরে একেবারে ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। এখন ২-৩জন ব্রিজের উপর উঠলে ব্রিজটি নড়বড় করতে থাকে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার ফলে এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও সবজি চাষিদের তরকারি ও পালবাড়ির মাটির তৈরীর জিনিসপত্র পরিবহনসহ চলাচলের ক্ষেত্রে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রতিনিয়ত ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত রোববার মনজেল মোল্যা নামে এক ফল ব্যবসায়ী আম বোঝাই সাইকেল নিয়ে সাঁকো পারাপারের সময় সাইকেলের চাকা ব্রিজের ফাকা অংশে ঢুকে আমসহ সাইকেল নিয়ে নদীতে পড়ে যান।

অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র কৌশিক জানায়, সে কয়েকদিন আগে স্কুলে আসার সময় ব্রিজের রেলিং এর বাঁশ ভেঙে বই খাতাসহ নদীর চরে পড়ে আহত হয়। এভাবে মানুষ জরাজীর্ণ ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করতে গিয়ে একের পর এক দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। দিনের বেলায় কোন ভাবে যাতায়াত করতে গেলেও রাতে আলো ছাড়া ব্রিজের উপর পা রাখা যায় না।

ব্রিজ নিকটবর্তী ঐতিহ্যবাহী ভবদহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আ: মতলেব সরদার বলেন, হরি নদীর উপর এই কাঠের সাঁকোটি ১৬-১৭ বছর আগে নির্মিত অথচ অদ্যবধি আর উন্নয়ন হয়নি। কলেজের পক্ষ থেকে এলাবাসীর সহায়তার প্রতি বছরই সংস্কার কওে থাকি কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ভবদহ কলেজ সহ আশেপাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অসখ ছেলে মেয়ে প্রতিনিয়ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে ।

ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজোয়ান মোল্লা বলেন, ঐ কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন অচল হয়ে পড়েছে। আমি ঈদের পর পরিষদের উদ্যোগে কাঠের ব্রিজের পরিবর্তে একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করার চেষ্টা করব ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর