জাপানিক বিইয়োস্যুমোতোইয়াসুহিরো এর কবিতা ভাষান্তরঃ আশরাফুল মোসাদ্দেক

কবিইয়োস্যুমোতোইয়াসুহিরো Yotsumoto Yasuhiro / 四元康祐১৯৫৯সালেজাপানের ওসাকায়জন্মগ্রহণকরেন।তিনিবেড়েওঠেনহিরোশিমায়।কৈশোরেইতিনিকাব্যচর্চাশুরুকরেনএবং১৯৯১সালেতারপ্রথমকাব্যগ্রন্থA Laughing Bugপ্রকাশিতহয়।এপর্যন্ততারমোটছয়টিকাব্যগ্রন্থপ্রকাশিতহয়েছেযারমধ্যেউল্লেখযোগ্যহলোStarboard of my Wife (2006)এবংGolden House (2004)।অনেকগুলোপুরষ্কারতিনিঅর্জনকরেছেনযারমধ্যেHagiwara Sakutaro Award in Japanহলোঅন্যতম।তারকবিতাইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, সারবিয়ান, রুমানিয়ানসহঅন্যান্যভাষায়অনূদিতহয়েছে।২০০৬সালথেকেতিনিPoetry International Web—Japan এর জাতীয় সম্পাদকের কাজে নিয়োজিত আছেন।আট বছর আমেরিকায় বসবাসের পর এখন তিনি জার্মানির মিউনিখেস পরিবারেবসবাসকরছেন। নীচের কবিতাগুলো ইংরেজি থেকে ভাষান্তরিত করা হয়েছে।

Reading a Wife
স্ত্রী-কে পাঠ করা

একজন স্ত্রী শব্দে কম্পোজকৃত নয়, তাই
উপন্যাসের মতো নয় যা ভোর পর্যন্ত লাগে
একে উপভোগ করতে, কিন্তু ও-কে সারারাতে
পাঠ করা সম্ভব নয়

কবিতার কঠিণ চরণের মতো
বার বার পড়ে তবে বুঝে নিতে হয়
কিন্তু তা ভিন্নরকম যদিও দেখতে মনে হয় সমগোত্রীয়

গতকাল গাড়ি চালনার সময়
জ্যামে থেমে থাকার সময়
এক মুহূর্তের জন্য শ্রবণ করলাম পাখির ডানাঝাপটানো
আহ্, আমি মনে করি

ঐ আহ্ শব্দটি শুধু এক মুহূর্তের জন্য, কিন্তু
এর জন্য প্রয়োজন অতীন্দ্রিয় বোধ, কিছু মনে করবেন না
আমার স্ত্রী যে আমার সন্মুখে হয় ঘুমাচ্ছিলো বা জেগে ছিলো

এটি কি ঔদ্ধত্য কোনো ব্যক্তিকে পাঠ করা?
না ওর অভিব্যক্তি অথবা অঙ্গভঙ্গি
কিন্তু ঐ ব্যক্তি অর্থাৎ আমার স্ত্রী-কে পাঠ করতে গিয়ে
সন্তুষ্ট হতে পারিনি শুধুমাত্র একত্রে বসবাসব্যতীত

স্ত্রী আমাকে বলে টেবিলের ওপার থেকে
স্ত্রী বাক্যহীন দোলে ও এদিকওদিক ফিরে বিছানায়
মনে হয়
অপেক্ষমান অনুগত এক মহিলা পেশ হতে চাইছে যা দেখছি না আমি

নিঃশ্বাসে খোঁদাই করছে প্রতিটি বাক্য
দৈনন্দিন বাস্তবতাকে বিরামচিহ্নসহ
এ খসড়া আমার স্ত্রীর জীবনের পাতাকে উলটিয়ে দেয়

অনুধাবন করতে চাই কিন্তু দেখতে নয় বরং শব্দগুলোকে
আমি ও আমার স্ত্রী থেকে অনেক দূরে একটি শান্ত স্থানে
যেখানে প্রশাখার ঘ্রাণ তুষারের মধ্য দিয়ে বাতাসে বিস্তারিত হয়
আমি আমার স্ত্রী-কে পাঠ করতে চাই

Women in the Museum
মিউজিয়ামে রমণী

তোমার সাথে দেখা হওয়া নিঃসন্দেহে
আমার ভাগ্যের এক বিশালতম অভিঘাত
কিন্তু অবাক হই সংরক্ষণটিও কি সত্যি?

মিউজিয়ামে অপরাহ্নে বিভিন্ন রমণীদের জীবন প্রদর্শিত হচ্ছিলো
পুরোহিত এক মহিলা সন্তুকে সময় দিচ্ছিলো এবং
পানশালার এক মহিলা মালিক চেষ্টা করছিলো বিচ্ছিন্ন করতে জাপটাজাপটি করা পুরুষগুলোকে
দ্যানে,নগ্ন উন্মুক্ত পায়ে
স্নানমগ্ন ছিলো সোনালি বৃষ্টিতে

এর মধ্যে যে কেউ একজন ছিলে তুমি

একটি গাছের গুঁড়ির পিছনে এক মা তার শিশুকে স্তন্যপান করাচ্ছিলো
বয়ষ্ক পিতা এবং একটি গাধা উঁকি দিয়ে দেখছিলো
ভ্রমণে স্বল্প থেমে
পিছনের পর্দার অন্তরালে পায়ুকামীদের প্রজ্বলিত সড়কে
বেসামাল মাতাল ছেনালিপনায় মত্ত হয়েছিলো কন্যাদের সাথে
যখন তার স্ত্রী ফিরে তাকালো ও একটি লবণের স্তম্ভে রূপান্তরিত হলো

এসব বিষয় তুমি বাদ দিয়েছো এবং এখনো স্বপ্ন দেখছো
পেইন্টের মতো একসাথে মিশে যেতে
কোনো দৈবঘটনা নয়
নির্লজ্জ পাত্রে যৌনানন্দের পুলকের ব্যবহার নয়
আবেগঅস্বীকার করে তুমি এগিয়ে গেলে পায়েপায়ে

The Body
শরীর

সময়প্রবাহিতহলে
এটিকোমলহয়েআসে
এবংখানিকটাহিমেল

কপোল
ঘাড়
স্কন্ধ থেকে কনুই
ওষ্ঠযুগল
যদিও প্রেমময়
ধীরে ধীরে
হারায় পরত

ছাল তুলে ছড়ায়
শাখায় ঝুলে থাকে
কম্পিত করে
বক্ষদ্বয় এবং আত্মা
সারারাতভর নদীর শব্দ

হঠাৎ প্রভাতে উদিত হয়
টেনে নেয় বলিদানে
উৎসর্গ ধারণ করে রক্তের গন্ধ
এক আকস্মিক বিরতি
শক্ত পাথরের মতো

এটি বড় হয়
দেখায়
টর্চের মতো

The Apple
আপেল

এটি ছিলো সর্প যা ইভ-কে প্ররোচিত করেছিলো, কিন্তু
পঁচিশ বছর আগে আমার স্ত্রী-কে প্ররোচিত করেছিলো কে?
সেইদিন যখন তাইফুন থামিয়ে দিয়েছিলো ট্রেন
ও হেঁটে গিয়েছিলো সারাপথ পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত
ঘাড়ে একটি টেনিসব্যাগ নিয়ে

ও আমার দরোজায় টোকা দিয়েছিলো যেনো নিজেকে বিসর্জন দেবে
নিষিদ্ধ ফলের পরিবর্তে

ক্রেনেচ পেইন্ট করেছে এডাম
ধরে আছে সোনালি ফল একহাতে
এবং অন্যহাতে ঘসছে তার চুলময়মস্তক
এটি খুবই স্পষ্ট যে
তার কোনো ক্লু ছিলো না
অস্থায়ী মৃদুমন্দ হাওয়ায়

দু’টো কামড় দিলো
একটি কামড়, দু’টো, তিনটি এবং আরো একটি

আপেলবৃক্ষটি এখনো চারা যখন আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম
এটি লম্বা এবং শক্ত হচ্ছে
আমাদের কন্যা সহজেই এতে চড়তে পারে
প্রতিবছর অসংখ্য কীট এর ফল খায়
মাটিতে পতিত হয়, পাখিরা চঞ্চুতে তুলে নিয়ে যায়

এ ফল ভক্ষণজনিত জ্ঞানের কারণে
দু’জন খুব চিন্তিত আর চারপাশের সবাই শান্ত

মৃদু তরঙ্গে বয়ে যাওয়া হ্রদের ওপার থেকে স্ত্রীর চক্ষুগুলো থেকে
পালিয়ে যায় এক দ্রুত ছায়া
একটি ঘরের দু’কোণ থেকে আমরা দ্রুত পাজামা পরিবর্তন করি
এবং তখন একে অন্যের পোশাক খুলে ফেলি
দাঁড়াই পাশাপাশি বুনোরাতে
এটি কি কোনো আশীর্বাদ?
অথবা কোনো শাস্তি?

আমার হাতে এখনো আপেল
যার চারপাশে এখনো অসংখ্য দাঁতের দাগ

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর