পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

কেবল ভূমি সংস্কার ছাড়া পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে একযোগে কাজের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবের পার্শ্ববর্তী স্থানে নির্দিষ্ট দুই একর জমির উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলে প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী চারটি ব্রিগেড ছাড়া অধিকাংশ সেনা ক্যাম্পও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার ভূমি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন একাধিকবার গঠন করলেও কমিশনের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। কারণ সেখানে কিছুটা অবিশ্বাস এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা ক্যাম্পগুলো অধিকাংশই তুলে নেওয়া হয়েছে। যা সামান্য কিছু আছে- চারটি জায়গায় কেবল চারটি ব্রিগেড থাকবে। বাকিগুলো সব সরিয়ে নেওয়া হবে। সে কারণে রামুতে আমরা একটা সেনানিবাস করেছি। ওই অঞ্চলে সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন-২০০১-এর কতিপয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সম্ভব সবকিছু করতেই সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরাও বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং সরকার ওই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যেতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রকল্পে ছয়তলা ভবন, মাল্টি পারপাস হল, ডরমেটরি, প্রশাসনিক ভবন, জাদুঘর, লাইব্রেরি, ডিসপ্লে সেন্টার, থিয়েটার হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বাসভবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর