এবার আসিফ হিন্দি ছবির গানে

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও থেমে নেই সংগীত নিয়ে তার কাজ। সম্প্রতি বৈশাখে প্রকাশ পেয়েছে আঁখি আলমগীরের সঙ্গে তার নতুন গান ‘বেসামাল মন’।

এ গানটির ভিডিও প্রকাশ হয়ে এরই মধ্যে প্রশংসিত হচ্ছে। ভিডিওতে আসিফ ও আঁখিই পারফর্ম করেছেন। এর মাধ্যমে অনেক বছর পর এই দুই তারকার কোন নতুন গান প্রকাশ পেলো। এর আগে আঁখির সঙ্গে একটি গান করলেও সেটি তেমন উল্লেখযোগ্য ছিলো না। তবে এবারের গানটি প্রকাশের পরই আলোচনায় চলে এসেছে। সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষে শুভ সূচনা করলেন আসিফ আকবর।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, শুভ কিনা জানি না। তবে বেশ ভালো রেসপন্স পাচ্ছি ‘বেসামাল মন’ এর। আমার ও আঁখির ভক্তরা গানটি উপভোগ করছেন। আশা করছি সামনে সাড়া আরও ভালো পাবো।

বর্তমানে আসিফ কিছুটা অসুস্থ। এই অসুস্থতার মধ্যেই তিনি নতুন গানের কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করছে সংগীত নিয়ে। নতুন শিল্পীদের নিয়ে কিছু করার চেষ্টাও রয়েছে তার। এরই মধ্যে ১০-১২ টি নতুন গান তৈরি হয়ে আছে।

এগুলোর কাজ করেছেন লাকী আখন্দ, মানাম আহমেদ, এস আই টুটুল, রাজেশ, শ্রী প্রিতম, ইয়ামিন এলান, জাকের রানা। এর বাইরে সামনে মুম্বাইয়ের ছবিতেও গান গাইতে যাওয়ার কথা রয়েছে আসিফের। পাশাপাশি

শ্রী প্রিতমের সুর-সংগীতে ভেনাস রেকর্ডের ব্যানারে একটি অ্যালবাম করার কথা রয়েছে। তবে এগুলো আটকে আছে তার ভিসা জটিলতার কারণে।

গত বছর ঠিক এই সময়ে এমআইবির আয়োজনে গানমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে। এর সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে প্রত্যক্ষভাবে এ মেলায় অংশ নিয়েছিলেন আসিফ আকবর এবং তার নেতৃত্বে তরুণ শিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের সংগঠন আরওয়াইএমবি।

এ সংগঠন ও তার বাইরের তরুণ প্রজন্মের প্রায় সব শিল্পীই অংশ নেন এই মেলায়। তবে এবার এমআইবিকে গানমেলা করার অনুমতি দেয়নি শিল্পকলা একাডেমি। তার বদলে অনুমতি দেয়া হয়েছে অন্য একটি সংগঠন আয়োজিত সংগীত মেলাকে।

এ বিষয়ে আসিফ আকবর প্রতিবাদী কণ্ঠে বলেন, গত বছর গানমেলা প্রাণ পেয়েছিলো তরুণ শিল্পীদের সাবলীল অংশগ্রহণে। সঙ্গে গুরুজনরাও ছিলেন। তবে এবার আয়োজক সংগঠন এমআইবি অতি সতর্কতায় কাঠিবাজিতে পড়ে গেছে। যার কারণে মেলা হচ্ছে না। প্রযোজকদের ভেতরের গিরগিটিগুলো এখন চিহ্নিত। আমার প্রতিষ্ঠান ‘আর্ব এন্টারটেইনমেণ্ট’ এই মেরুদন্ডহীন সংগঠন থেকে বেরিয়ে গেছে। গান মেলা এবার হচ্ছে না, হচ্ছে সংগীত মেলা। অনেক কষ্টের গান মেলা থেকে কাটা পড়েছে তরুণ শিল্পীরা। শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পের পনেরোটি কলা আছে, একটি কলার উপর তাদের এলার্জী, সেটি সংগীত (তবে বিশেষায়িত গান চলে)।

শিল্পকলা প্রথমে বললো গান মেলা শব্দদূষণ করবে, পরে দেখলাম শব্দদূষণমুক্ত ওয়াইফাই সংগীত মেলা শুরু হয়েছে! আমরা বুঝি কোনটা পায়েস কোনটা সুজি। কারণ এখন শিল্পীরা অনেক সচেতন। সব মিলিয়ে বর্তমান সংগীতের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?

আসিফ বলেন, আমি বলবো মিউজিকের অবস্থা এখন ভালো। তবে হ্যা, রিংটোন এবং ইউটিউবের ক্ষেত্রে এখন বাটপারের আনাগোনা বেশি। এক্ষেত্রে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছে। ইউটিউব থেকে বড় একটি অর্থ আসে।

তিনি বলেন, তবে আমাদের দেশে ইউটিউব থেকে আয়ের ধারণা, জ্ঞান এবং পথ এখনও পরিস্কার না। আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে এই নিয়ে কাজ করছি। কয়েকজন লোকও আমি নিয়োগ দিয়েছি, যারা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন এ বিষয়ে।

এই সময়ের গান কেমন মনে হচ্ছে আপনার কাছে? আসিফ বলেন, ভালো হচ্ছে। তরুণদের অনেকেই অনেক মেধাবী। তবে অনেক প্রতিভাবান তাদের প্রতিভার বিকাশ ঠিকভাবে করতে পারছে না। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। আমি মনে করি শ্রোতাদের চিন্তা করে কাজ করতে হবে। আর একটা বিষয় হলো যার যেটা কাজ তার সেটাই করতে হবে। সব কাজ একজন করলে হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর