গোপন চুক্তিতে ইউপি নির্বাচন : রিজভী

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আর নির্বাচন কমিশনারের সাথে সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জিতাতে গোপন চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতা হয়েছে বলে উল্লেখ করে দলটি।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য নির্বাচনকে রক্তাক্ত করা, সেই পৈশাচিক ঐহিত্য ধরে রেখেছে। রক্তাক্ত করেছে ইউনিয়েনের পর ইউনিয়ন। নিহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষেও অনেককে হত্যা করেছে।

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকারের জোর করে রাষ্ট্রীয়

ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাদের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহিংস ও ভোট ডাকাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আসছে দেশবাসী।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক সংঘটিত লগি-বৈঠার সেই পৈশাচিক ও লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞের কথা ভুলে যায়নি।

রিজভী বলেন, সব ক’টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রশাসনের হামলা, গ্রাম ছাড়া করা, এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রাণঘাতি রক্তাক্ত সহিংসতা ঠেকাতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেননি। ভোট ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের একহাতে টাকা অন্যহাতে অস্ত্রের ঝলকানি। গুন্ডা-পান্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, দেশবাসী জানে এই সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে প্রতিটি নির্বাচন নিয়ে তামাশার খেলা খেলেছে। এবারেও দেশব্যাপী প্রথম ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত তাই দেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাসার ছাত্রদল নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিসিতা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর