মুশফিক কিপিং নাও করতে পারে

জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফোন কোম্পানি ‘রবি’র   লোগো। সেই নতুন জার্সি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের উইকেট কিপিং করা  না করার বিষয়টি গুরুত্ব পায় তার আলোচনায়। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের যাওয়া না যাওয়ার বিষয়েও তিনি কথা বলেন। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো:
মুশফিকের উইকেট কিপিং
মুশফিককে ঠিক করতে হবে, কোনটা রাখবে। আমার ধারণা উইকেটরক্ষণটাই প্রথমে আসবে। আমি যতদূর জানি, সে উইকেট কিপিং করতে ইচ্ছুক। তবে এই সিরিজে যেহেতু তার চোট পুরোপুরি সারেনি তাই হয়তো সে কিপিং নাও করতে পারে।
মেয়েরাই সিদ্ধান্ত নিবে পাকিস্তান সফর নিয়ে
পাকিস্তান বোর্ড থেকে জানতে চেয়েছিল মহিলা দল কখন  সফরে যাবে। আমি বলেছি, এটা সম্পূর্ণ আমাদের মহিলা দলের ওপর নির্ভর করছে। ওরা এক সময় বলেছিল, ওরা যে কোন জায়গায় খেলতে যেতে চায়। যদি ওরা পাকিস্তান যেতে চায় তখন আমরা  দেখবো বর্তমান পরিস্থিতিতে ওদের পাঠানো নিরাপদ কী না। যদি আমরা মনে করি নিরাপদ, তাহলে যাবে।
ক্রিকেট দলের ম্যানেজার
খালেদ মাহমুদ জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার যে হতে চায় না এমন কোন খবর আমার কাছে আসেনি। আমার জানা মতে, ওকে যদি এই দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে  সে পালন করবে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনের একটা ব্যাপার আছে, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে- খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্ক ভাল, ওরা ভাল বুঝতে পারে, অগ্রাধিকার হচ্ছে, সাবেক খেলোয়াড় হওয়া উচিত। আমাদের এখানে তিন জন সাবেক অধিনায়ক আছে। তারপর আরো খেলোয়াড় আছে, জালাল ভাই আছে। যে কোন একজন হতে পারে।
ভারতের বিপক্ষে প্রত্যাশা
প্রত্যাশাতো একটাই। আমরা তো জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু আশা করি না। প্রথমত যেটা দরকার, বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে যে খেলাটা আমরা খেলে আসছি ওটার ধারাবাহিকতা। আমাদের ব্যাটিং যদি ঠিক থাকে আমরা জানি যে কোন দলকেই হারাতে সক্ষম। ভারতের ব্যাটিং বিশ্বের সেরা। ওরা অত্যন্ত শক্তিশালী, বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশের কন্ডিশনে। কিন্তু আমাদের ব্যাটিংওতো ভাল হচ্ছে। আমরা যদি এমন ব্যাটিং করে যেতে পারি; একটা প্লাস পয়েন্ট আমাদের আছে। আর পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের বোলিং তেমন শক্তিশালী নয়। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে যেমন ব্যাটিং করেছি; তেমন ভারতের বিপক্ষেও করতে পারি তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।
ডিআরএস থাকছে না
এটা দুই দেশের সিদ্ধান্ত। সাধারণত ভারতের সঙ্গে খেলাগুলোতে ডিআরএস থাকে না। এটা মূলত দুই পক্ষের মতেই হয়ে থাকে। আগের চুক্তিতেই বলা ছিল এখানে ডিআরএস থাকবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর