ব্লগার হত্যায় বিশ্বজুড়ে আলোড়ন, ইমাম হত্যায় নয় কেন

ব্লগার হত্যায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হলেও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন হত্যায় এর বিপরীত অবস্থা দৃশ্যমান হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেছেন, আমি হত্যার পক্ষে নই। যেকোনো হত্যাই নিন্দনীয়। যারা ব্লগে ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপ করে তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়নে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টির ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, ব্লগার হত্যায় সারা পৃথিবীর মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। অথচ আমাদের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিয়ত

খুন গুম হলেও এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। কারণ তারা মুসলমান, মানুষ না।

তিনি আরো বলেন, ধর্ম এবং আমাদের নবীজীকে নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কারও নেই। অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কেন আঘাত হানবেন? প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কারও ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা যাবে না। কিন্তু যেসব ব্লগার হত্যা হয়েছে তারা কি ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেনি?

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, আমাদের দেশে না কি মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে? আপনাদের দেশে কি মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে না? আমাদের দেশ আমরা চালাব, আপনাদের কথা না শুনলেই আমরা জঙ্গি?

তিনি আরো বলেন, জঙ্গি বলতেই আজ মুসলমানদের বোঝানো হয়। আমরা কেন আজ জঙ্গি হলাম। আফগানিস্তানে শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করলেন, এটা কি জঙ্গিবাদ নয়? তেলের কারণে ইরাককে ধ্বংস করে দিলেন, সাদ্দামকে হত্যা করলেন, কী দোষ ছিল সাদ্দামের? তেলের কারণে লিবিয়াকে ধ্বংস করলেন, গাদ্দাফিকে হত্যা করলেন। সিরিয়ার মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় চেয়েছিল, আশ্রয় দেননি। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? মুসলমানরা এর প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করলেই এটাকে জঙ্গিবাদ বলে প্রচার করা হয়।

এরশাদ বলেন, ফিলিস্তান রাষ্ট্রভূমিকে ইহুদিদের কাছে দেয়া হলো, সেখানেও হাজার হাজার নারীশিশুকে হত্যা করা হলো, এটা কি জঙ্গিবাদ নয়?

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর