উৎসে কর আদায় থেকে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে অব্যাহতি

আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে উৎসে কর আদায় থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ফার্ম বা কোম্পানি করদাতার মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের যে বিধান করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩(ও) ধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ধারাটি চলতি অর্থবছরে সংযোজন করা হয়েছিল। এর ফলে আগামী অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে কোনো কোম্পানি বা ফার্মের উদ্ভূত মুনাফা নিজেদেরকেই নিজেদের আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে কর আদায় করা হবে।

উদাহরণস্বরূপ, ‘ক’ নামের কোম্পানি বা ফার্ম শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। এ মুনাফা থেকে সিকিউরিটিজ কোম্পানি চার্জ, ফিস ও কমিশনার বাবদ ৫০ হাজার টাকা ‘ক’ কোম্পানির বিও একাউন্টে চার্জ করে। অর্থাৎ ‘ক’ প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক নিট মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর অর্থাৎ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ‘ক’ কোম্পানির কাছ থেকে আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিধান ছিল।

আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩(ও) ধারা বিলুপ্ত করা হলে কোম্পানি বা ফার্মকে তাদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মুনাফা আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী কর দিতে হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ব্রোকারেজ হাউজগুলোর উৎসে কর নির্ধারণ ও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ কারণে আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩(ও) ধারা বিলুপ্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আশা করি এটি প্রত্যাহার করা হবে।’

কর অবকাশ সুবিধা : আগামী বাজেটে অটোমোবাইল শিল্প, টানেল কিং পদ্ধতিতে অটোমেটিক মেশিনে ইট প্রস্তুতকারক, টায়ার প্রস্তুতকারক শিল্পকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর