কেন হরতাল দিল না বিএনপি

আদালত বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অবশ্যই বিএনপির আইনজীবীদের চরম ব্যর্থতার ফল। ম্যাডাম কোন সাধারণ নাগরিক নন। আদালতে উপস্থিতি ম্যাডামের জন্য আইনগত বাধ্যতামূলক নয়। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বশরীরে আদলতে উপস্থিত না থাকতে চাওয়ার আবেদন গ্রহণ করা আদালতের রীতি ও ভদ্রতা। যদি কোন আদালতে তার ব্যত্যয় ঘটে তাহলে বুঝতে হবে সে আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না। যে আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না, সেই আদালতের অবমাননার ভয় করা কোন রাজনীতির হীনমন্যতা!

বর্তমান সরকারের কাছে ন্যায় বিচার আশা করা নেহায়েতই বাতুলতা। এ সরকার একটি ভাষাই বুঝে যা হলো রাজপথের আন্দোলন। যা তারা সবসময় করে আসছে।

আজকে সারা দেশে ৭০০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অথচ সরকার গতকাল অত্যন্ত হিসাব করে ঝুঁকি নিয়ে ম্যাডামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলো! ঝুঁকি ছিল। বিএনপি প্রতিটি জেলায় জেলায় জেলার নেতারা হরতাল ডেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারতো। হরতাল ডাকলে ইউপি নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যেতে বাধ্য ছিল। এমনিতেই ইউপি নির্বাচনে বিএনপি ১০% ভাগ আসন পাবে কি না সন্দেহ! অথচ আজকের একটি যৌক্তিক হরতাল রাজনীতির চলমান গতির মোড় ঘুরিয়ে দিত তাতে কোন সন্দেহ নাই বলে অনেকে মনে করেন। দলের প্রতিটি কর্মী ম্যাডামের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে স্বতস্ফুর্তভাবে হরতালে ঝাপিয়ে পড়তে বাধ্য হতো। এক দিকে ইউপি নির্বাচন তার ওপরে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে দলের জাতীয় সম্মেলন। দল এখন ভীষণভাবেই চাঙ্গা তার ওপরে কমিটি ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু কেন জানি না বিএনপি নিশ্চুপ!

অনেকের মনে প্রশ্ন নয়াপল্টন দলের অফিসের কাছে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সারা দেশে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো না কেন? কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে স্থানীয় পর্যায়ে ঘোষণা দিয়ে আজকে সারা দেশব্যাপী হরতাল পালন করা হলো না? আদালত কতজনের নামে আদালত অবমাননার মামলা করতো?

আমি বোকার মত প্রশ্নটি করলাম!

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও সাবেক সংসদ সদস্য।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর