মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক : শিক্ষামন্ত্রী

মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী মাসে (এপ্রিলে) জুনিয়র দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪ টি পাঠ্যপুস্তক ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।

আজ (বুধবার) ঢাকায় এ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে প্রকাশের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষাধারার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৬টি পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল ভার্সন তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন একটি ছোট ট্যাবে তাদের সব পাঠ্যবই পড়ার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে লিঙ্কে গিয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকছে যা মুদ্রিত বইয়ে সম্ভব নয়। ডিজিটাল এসব বই ইন্টার‌্যাকটিভ হওয়ায় উচ্চারণ, চিত্রসহ প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট শিক্ষার্থীর সামনে তুলে ধরা যাবে।

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকের ওয়েবসাইটে প্রকাশের পূর্বে চূড়ান্ত মূল্যায়ণ উপলক্ষে নায়েম মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন শিক্ষাসচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এম এহসান কবীর এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফউল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর কায়কোবাদের তত্ত্বাবধানে প্রণীত মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ৪ টি ডিজিটাল পুস্তকের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রদান করেন বুয়েট শিক্ষক ড. অনিন্দ্য ইকবাল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আলেম-ওলামা ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রণীত জুনিয়র দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪টি পাঠ্যপুস্তক-কুরআন মজিদ, আকাইদ ও ফিকহ্, আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র আগামী মাস থেকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মাদরাসার শিক্ষার আধুনিকায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, সরকার মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করেছে, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে।

জনাব নাহিদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে এখন আর সাধারণ শিক্ষা ধারার শিক্ষার্থীদের কোন পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, মাদরাসায় ধর্মীয় বিষয়সমূহের পাশাপাশি পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করায় মাদরাসা ডিগ্রিধারীরাও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস অফিসার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর