সূর্যমুখী ফুল নিয়ে লড়াই

নওগাঁয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে লড়াই অবশেষে লটারির মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। ভোটের লড়াইয়ের আগেই প্রার্থীদের মধ্যে মোরগ ও সূর্যমুখী ফুল প্রতীক নিয়ে লড়াই হয়েছে।

সোমবার নওগাঁর পত্মীতলা ও ধামইরহাট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বেশির ভাগ ইউপি সদস্য (সাধারণ) মোরগ ও তালা প্রতীক দাবি করেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের পছন্দের প্রতীক ছিল সূর্যমুখী ফুল। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করায় লটারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হয়।

ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীরা দলবল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিজ নিজ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন। প্রার্থী ও তাদের সঙ্গে কথা বলে লটারির বিষয়ে জানা যায়।

পত্মীতলার ঘোষনগর ও আড়ানগর ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ জানান, আমার দুই ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী মোরগ প্রতীক দাবি করেন। প্রতীক নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার সুযোগ দেয়া হলেও তা মানতে নারাজ। বাধ্য হয়ে লটারি করতে হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের প্রতীক সূর্যমুখী ফুল নিয়েও লটারি করতে হয়েছে।

ঘোষনগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন সদস্য পদপ্রার্থী মোরগ প্রতীক দাবি করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেদের সমঝোতা করতে বললে একজন মোরগের দাবি ছেড়ে দিয়ে তালা প্রতীক বেছে নেন। কিন্তু অন্য দুইজন মোরগের দাবি না ছাড়ায় লটারির মাধ্যমে প্রতীক পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের মণ্ডল।

অন্যদিকে মোরগ প্রতীক না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করে গফুর মণ্ডল জানান, আমি ঘোষনগর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য। গতবার মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার লটারিতে হেরে গিয়ে টিউবওয়েল প্রতীক নিতে হলো।

আড়ানগর ইউনিয়নের ২নম্বর (১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পদপ্রার্থী জাহানার বেগম ও জেসমিন আরা দুইজনেরই পছন্দের প্রতীক সূর্যমুখী ফুল। দুইজনের কেউ সূর্যমুখী প্রতীক ছাড়তে রাজি না হওয়ায়, অবশেষে লটারি করা হয়।

লটারিতে পছন্দের প্রতীক পেয়ে উৎফুল্ল জেসমিন আরা জানান, ফুলের প্রতি সবারই একটা টান আছে। প্রতীক দেখেও অনেকে প্রার্থী পছন্দ করতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। তাই আমি এই প্রতীক চেয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেবুন্নেসা শাম্মী জানান, ধামইরহাটের আটটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে টানা হেঁচড়া হয়েছে। প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে লটারি করতে হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর