উনারা ৭০০ নিয়ে আমাদের ২০-৫০টা দিতে পারেন

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করছে বিএনপি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রথম ধাপের ভোটের ৭৩৪ ইউপির মধ্যে ৭০০টিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ‘জয়ী করে নিতে পারে’ বলে আশঙ্কা তাদের।

বুধবার নির্বাচনে কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ শঙ্কার কথা শোনান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

তার অভিযোগ, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এতদিন কেন্দ্রীয়ভাবে ‘ধ্বংস করে’ এখন স্থানীয় পর্যায়ে তা করা হচ্ছে।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন কোনো সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে পারেনি অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “নির্বাচন কমিশন সরকারের থাবার বাইরে যেতে পারছে না। সরকারের সাঁড়াশির ভেতরে রয়েছে।

“পৌর নির্বাচনে যেভাবে সরকারি দল দখল করে নিয়েছে, তেমনি ইউপিতেও তা করবে। ওই সময় যেমন ২০০ পৌরসভা দখল করে নিয়েছে এবার প্রথম ধাপে ৭০০ ইউপি দখলে নিবে ক্ষমতাসীনরা। আমাদের ২০ থেকে ৫০টি দেওয়া হতে পারে।”

দেশের চার হাজার ২০০ ইউনিয়নে এবার ছয় ধাপে ভোট হচ্ছে। ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৪ ইউনিয়নে ভোট হবে।

প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠেয় এই ভোটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধায় ৭০টি ইউপিতে বিএনপির মনোনীতরা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে শতাধিক ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াই ভোট হবে।

এ প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, “সংসদ নির্বাচনে যদি ১৫৩ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়, পৌর নির্বাচনে ২০০ পৌরসভা দখল করে নেয়, এখন ইউপিতে একশর মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে যাচ্ছে।

“এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন কমিশনের এত বড় অফিস থাকা কী দরকার?”

নির্বাচনী ব্যবস্থা যে ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ রূপ নিয়েছে তা থেকে আওয়ামী লীগও মুক্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এখন কে কাকে ভোট দিল এটা কোনো বিষয় নয়। কে দখল করে নিল তাই বিষয়। এটা যদি রীতিতে পরিণত হয় তবে ভোটের প্রক্রিয়ার কিছু থাকল না। সরকার প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়েই সব দখল করে নেবে।”

নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মঈন খান।

“ইসির সদিচ্ছা থাকলেও কিছু করার নেই। তাদের কোনো সদিচ্ছা রয়েছে কি না তা দেখা যাবে ২২ মার্চের পর। ওই দিন যদি সুষ্ঠু ভোট না হয় তবে সদিচ্ছার কোনো প্রমাণ থাকবে না।”

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর