সেভিয়ার রেকর্ড শিরোপা

ইউরোপা লীগে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়লো সেভিয়া। বুধবারে ফাইনালে ইউক্রেনের ক্লাব ডিনিপ্রোকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্পেনের এ ক্লাবটি। এতে আগামী মওসুুমে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার সুযোগ পেল তারা। স্প্যানিশ লা-লিগায় মওসুম শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থাকতে পারে নি সেভিয়া। নিয়ম অনুযায়ী শীর্ষ তিন দল সরাসরি ও চতুর্থ দল প্লে-অফ খেলে পরের মওসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলবে। কিন্তু সেভিয়া এবার পঞ্চম স্থানে থেকে মওসুম শেষ করে। কিন্তু ইউরোপা লীগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আগামী মওসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলবে তারা। সেভিয়া প্রথম ক্লাব হিসেবে ইউরোপা লীগে সর্বোচ্চ চার শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তিন শিরোপা নিয়ে তাদের পরে আছে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। ইউরোপের এ আসরটির নাম আগে ছিল ইউয়েফা কাপ। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এটি ইউরোপা লীগ হিসেবে চলে আসছে। আর নতুন নাম ধারণের পর একমাত্র সেভিয়াই টানা দুই মওসুম শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখালো। এর আগে তারা ২০০৬ ও ২০০৭ সালে টানা দুইবার শিরোপা জেতে। এতে চারবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই শিরোপা জিতলো সেভিয়া। গতবারের ফাইনালে পর্তুগালের ক্লাব বেনিফিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। আর এবার প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা ডিনিপ্রোকে হারিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেল তারা। ইউক্রেনের এ ক্লাবটি এবার দারুণ চমক দেখিয়েছে। প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করায় নিজেদের মাঠে এক ম্যাচ খেলতে পারে নি তারা। ইউরোপা লীগে সবগুলো ‘হোম ম্যাচ’ তারা খেলেছে কিয়েভ থেকে ২৪৩ মাইল উত্তর-পশ্চিমের শহর ওয়ারস’তে। ফাইনালে ওঠার আগে তারা ১৬ ম্যাচে মাত্র ৭ ম্যাচ জেতে। গোল করে মাত্র ১৩টি। কিন্তু ফাইনালে শক্তিশালী সেভিয়াকে চমকে দেয় তারা। ওয়ারস’র মাঠে সপ্তম মিনিটেই স্বাগতিক ডিনিপ্রোকে এগিয়ে দেন কালিনিক। কিন্তু ২৮ মিনিটে সেভিয়াকে সমতায় ফেরান ক্রাইচোউইক। আর এর তিন মিনিট পর সফরকারীদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কার্লোস বাক্কা। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মিনিটেই ডিনিপ্রোকে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান রোটান। ডিনিপ্রোর এমন আক্রমণে দিশাহারা তখন সেভিয়া। কিন্তু ৭৩ মিনিটে তাদের স্বস্তি ফেরান কার্লোস বাক্কা। ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেভিয়া।
গত ৫ বছরের চ্যাম্পিয়ন
২০১৩-১৪-সেভিয়া-স্পেন
২০১২-১৩-চেলসি-ইংল্যান্ড
২০১১-১২-অ্যাটলেটিকো-স্পেন
২০১০-১১-পোর্তো-পর্তুগাল

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর