আসছে নতুন মুখ: বাদ পড়ছেন নিষ্ক্রিয়রা

কাউন্সিল ঘোষণায় সরব হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে এ কাউন্সিলের মাধ্যমে বাদ পড়তে যাচ্ছেন দলের বিতর্কিত ও নিষ্ক্রিয় নেতারা। আর ওই পদগুলোতে আসছেন অতীতে ছাত্রলীগের শীর্ষপদে দায়িত্বে থাকা পরিস্কার ভাবমূর্তিধারী নেতারা।

দলের ২৮ মার্চের কাউন্সিলকে ঘিরে এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।

এদিকে কাউন্সিলে নতুন কমিটিতে পদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্রও সংশোধন হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলের সূত্রগুলো বলছে, এবার কাউন্সিলে দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্ব বের করে আনতে চান আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। এজন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারে পরিবর্তন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে থেকেও যারা দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়েছেন, তারাই বাদ পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হয়েছে, তারাও থাকবেন এ তালিকায়। এ সংখ্যা প্রায় ২৫ জনের মতো হতে পারে বলে মত দলীয় সূত্রগুলোর।

আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, দলের কর্মকাণ্ডকে সুসংহত করতেই এবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকেই বাদ পড়তে পারেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের গত কাউন্সিলে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু এবারের কাউন্সিলে তেমনটা দেখা যাবে না বলেই ধারণা আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার। পদ-পদবি নিয়ে যারা বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত হয়েছেন, তাদের আর দায়িত্ব দিতে চান না দলের হাইকমান্ড। সেই সঙ্গে করা হতে পারে সাংগঠনিক মূল্যায়নও।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও দলকে তেমন কিছু দিতে পারেননি বেশ কয়েকজন নেতা। এরা সবাই নিষ্ক্রিয়। কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং ছাড়া দলের কোনো কর্মকাণ্ডে তাদের তেমনভাবে কাজ করতে দেখা যায়নি। এদের বিষয়ে সিদ্ধান্তে নিতে চান দলের হাইকমান্ড। এদের মধ্যে দলের কয়েকজন সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হতে পারে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক আলাদা একটি পদ। এছাড়া নতুন বিভাগ হওয়ায় বাড়তে পারে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদও। আরও কয়েকটি পদ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধন আনা হতে পারে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে থেকে যারা দলের দুর্দিনে কাজ করেছেন, তারাই মূল্যায়িত হতে পারেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির অনেকেই। এদের সঙ্গে রয়েছেন ছাত্রলীগের কয়েকজনও। দলে পদ পেতে তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডকে প্রকাশ্যে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা নিয়মিত আসছেন দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের কাছে গিয়ে তারা ধর্ণা দিচ্ছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারও প্রায় সব জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিকে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যেসব জেলায় সম্মেলন শেষ হয়নি চলতি মাসেই তা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ভোলা, নেত্রকোনা ও শরিয়তপুর।

এর মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ, ২৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা, ২৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ, ২৭ ফেব্রুয়ারি শরিয়তপুর জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর