চলচ্চিত্রে নিয়মিত হবো : তিশা

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ছোট পর্দার প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন তিশা। পরবর্তীতে সেই একই নির্মাতার ‘টেলিভিশন’ ছবিতেও অভিনয় করেন। তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’ চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে। এবার তাকে দেখা যাবে একেবারেই বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে। বহুমুখী এই অভিনেত্রী বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা হওয়ার অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ারের টুকটাক গল্প শোনালেন বিনোদন বিভাগে…

আপনার অভিনীত প্রায় সবগুলো ছবি বিকল্পধারার। কিন্তু হঠাৎ পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করছেন। ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিলেন নাতো?

tisa-sakibতিশা : (হেসে উড়িয়ে দিয়ে) এখানে ঝুঁকি নেয়ার কি আছে! কোনটা বাণিজ্যিক ছবি আর কোনটা ধ্রুপদী ছবি- এসবে আমি মোটেই বিশ্বাসী নই। চলচ্চিত্র তো চলচ্চিত্রই। আমি ভালো ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। ভালো নিমার্তা, ভালো স্ক্রিপ্ট ও ভালো কনসেপ্ট হলে আমি সকল ধারার চলচ্চিত্রে নিয়মিত হবো।

শামিম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’ ও অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সিনেমাতে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। দর্শক যদি মিষ্টি মেয়ে তিশাকে লাস্যময়ী চিত্রনায়িকা হিসেবে গ্রহণ না করেন?
তিশা : আমি জানি আমার কাজের এক শ্রেণির দর্শক অপেক্ষা করেন। তাদের আস্থার হেরফের কোনো সময়ই আমি করবো না। আমার দিক থেকে ভালো ছবি পেলে সবসময়ই কাজ করে যাবো। আজ পর্যন্ত দর্শকরা আমার কাজের প্রশংসা করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস। কারণ আমি দর্শকের ভরসা ভাঙার মতো কোনো কিছুই করবো না।

মেন্টাল’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে আরেফিন শুভর বিপরীতে অটিস্টিক শিশুদের সাথে। বলা যায়, দুটি চরিত্রে বেশ বৈচিত্র আছে…
তিশা : ‘মেন্টাল’ ছবিটি অ্যাকশান থ্রিলার ঘরাণার অন্যদিকে ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে সমাজের অসহায় শিশুদের কষ্ট, জীবন প্রণালি, হাসিকান্না ফুটে উঠবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ছবি দুটোর কাহিনী দুই মেরুর বাসিন্দার মত। এছাড়া দুটি ছবিতে গেটআপেও বেশ পার্থক্য দেখতে পাবেন দর্শকরা। তাছাড়া ‘অস্তিত্ব’ ছবির মাধ্যমে অনেক কিছুরই জানান দিতে চেয়েছি, যাদের জানার তারা জেনে যাবে। তবে এই ছবি দেখে একশ’ পরিবারের মধ্যে পাঁচটি পরিবারও যদি তাদের স্পেশাল শিশুদের নিয়ে সচেতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গবর্বোধ করে ও তাদের স্পেশাল শিশুদের বিশ্বাস করে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে তাহলে সেটাই হবে আমাদের স্বার্থকতা।

জাগো নিউজ : বর্তমান সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় দুই নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাটা জানতে চাই…
তিশা : শাকিব ভাই নিঃসন্দেহে এজকন জনপ্রিয় শিল্পী। তিনি আমাকে শুটিংয়ের সময় অনেক সাহায্য করেছেন। নৃত্য, কোরিওগ্রাফি প্রত্যেকটি দিক থেকে আমাকে সাহায্য করেছেন। আর আরিফিন শুভর সাথে আমি এর আগে অনেক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। সে আসলে সহশিল্পী হিসেবে দারুণ। অভিনয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে সে অনেক সাহায্য করেছে।

tisa-suvo
ছোটপর্দায় কাজের কী খবর?
তিশা : এবারের ভালোবাসা দিবসে আমার দুটো নাটক প্রচারে যাচ্ছে। আরটিভিতে প্রচারিত হবে ‘তোমায় ভেবে লেখা’ নামের একটি নাটক যেটি দর্শকদের গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন ইমরাউল রাফাত। এখানে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তাহসান। অন্যটি ‘গল্পের রং নীল’ নামের আরেকটি নাটক। জাকারিয়া শৌখিন পরিচালিত এ নাটকটি ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত এনটিভিতে। এ নাটকে আমার সঙ্গে প্রথম বারের মত অভিনয় করলেন ইমন।

ছোট পর্দার মানুষ তিশা এখন বড়পর্দার চিত্রনায়িকা। চলচ্চিত্রে নিয়মিত দেখা মিলবে নিশ্চয়ই?
তিশা : হা হা হা…আমি ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক মডেলিং এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। এরপর নাটক নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শুধু চলচ্চিত্রেই কাজ শুরু করা হয়নি। আমি মনে করি অভিনয়ের গণ্ডিটা শুধুমাত্র ছোট কিংবা বড় পর্দাতে সীমাবদ্ধ নয়। একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী তার মনের মত কাজ পেলে সবক্ষেত্রেই বিচরণ করতে পারেন। তাই আমার পছন্দসই কাজ পেলে অবশ্যই আমি দুই ভূবনে কাজ করবো তবে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছাটা বেশি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর