পাঁচ ব্যাংকে ১০ পরিচালক নিয়োগ

সাবেক ব্যাংকারদের প্রধান্য দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে। গত এক সপ্তাহে দুজন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে এবং আটজন পরিচালককে নিয়োগ দিতে পাঁচ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বিভাগটি এ সপ্তাহে আরও কয়েকটি চিঠি পাঠাবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।

মূলত সোনালী, অগ্রণী, জনতাসহ বিশেষায়িত কয়েকটি ব্যাংকে পরিপূর্ণ পর্ষদ নেই প্রায় এক মাস। ব্যাংকগুলোর পর্ষদ বৈঠক চলছে কোনোরকমে। তবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম পর্ষদ সদস্য বা কোরাম ব্যাংকগুলোতে আছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সরকার এখন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে সাবেক কিছু ব্যাংকারকে নিয়োগ দিচ্ছে। কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অতীত ইতিহাস, দক্ষতা, ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ়তা কতটুকু আছে, তা বিবেচনায় রাখা।
আগে সরাসরি নিয়োগ দিলেও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগে সরকারের ধরন কিছুটা পাল্টেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকের পর্ষদের কাছে চিঠি পাঠায়। পর্ষদ তখন পরিচালক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র নিয়ে। চিঠিতে পর্ষদের কাছে অনুরোধ বা সুপারিশের কথা বলা হলেও এগুলো আসলে সিদ্ধান্তই বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চীন থেকে দেশে ফিরে আসার পর বাকি চিঠিগুলো পাঠানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, আরও কিছু করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাংকেরই পর্ষদ বৈঠক আটকে নেই।’
রাষ্ট্রমালিকানাধীন তিন বাণিজ্যিক ও তিন বিশেষায়িত অর্থাৎ ছয়টি ব্যাংকে ৩০ জন পরিচালকের পদ শূন্য ১৯ ডিসেম্বর থেকে। সোনালী, জনতা ও অগ্রণী—এ তিন ব্যাংকেই পরিচালক নেই ২১ জন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডেও (বিডিবিএল) শূন্য আরও নয় পরিচালকের পদ। আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকেও কয়েকটি পদ শূন্য।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর