পাকিস্তানে গুলির লড়াই শেষ, মৃতের সংখ্যা নিয়ে দ্বন্দ্ব

আজ বুধবার সকালে অনেক বড় ধরণের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখাওয়ার চারসাদ্দা শহরে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে। জঙ্গি হামলায় ছাত্র-অধ্যাপক মিলিয়ে অন্তত ২১ জন এবং ৬ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানা যায়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার সকালে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা সংখ্যায় ঠিক কতজন, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। কেননা, তারা সকলেই ঢুকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে।

পাক সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ঘিরে ফেলেছে গোটা এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও শুরু হয়েছে অপারেশন। হামলার সময়ে অন্তত ৩,০০০ ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে এখন অার গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানা যায়। হামলা শুরুর কিছুখনের মধ্যেই সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সকাল ১১.১৫- আরও সেনাবাহিনী প্রবেশ করল বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে।

সকাল ১১.২০— এক ছাত্র কোনওক্রমে পালিয়ে বাইরে এলেন। জানালেন অন্তত ৭০জন ছাত্রকে মাথায় গুলি করেছে জঙ্গিরা।

সকাল ১১.২৫— এলোপাথাড়ি গুলি চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। সঙ্গে বিস্ফোরণ।

সকাল ১১.৩০— হেলিকপ্টার চক্কর দিতে শুরু করল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে।

সকাল ১১.৪৫— হামলার দায় স্বীকার করল তেহরিক-ই-তালিবান।

বেলা ১২.০০টা — ‘শিক্ষাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রীদের এই বলিদান বিফলে যাবে না’, বললেন নওয়াজ শরিফ।

বেলা ১২.০৫— অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর সরকারি সূত্রে জানানো হল।

দুপুর ১.০০— পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হল অপারেশন শেষ।

দুপুর ১.০৫— সেনাবাহিনীর সূত্রে জানানো হল, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকসহ মারা গিয়েছেন ২১জন আর নিহত হয়েছে ৬ জঙ্গিও।

দুপুর ২.২৬ — পাকিস্তানের স্কুলে জঙ্গী হামলার বিষয় নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করে ট্যুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর