সন্তানসহ বাবা-মা খুন: ৯ জনকে আসামি করে মামালা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় সন্তানসহ বাবা-মাকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে নিহত আসাদের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা রুজু করেন। এ মামলায় চাচা দীন ইসলাম, দুই বোন নাজমা ও তাসলিমা, তাসলিমার স্বামী ফজলুর রহমান এবং ফুফাতো ভাইসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মাটিচাপা অবস্থায় ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়ে থানা হেফাজতে আছেন অভিযুক্ত চাচা, দুই ফুফু ও এক ফুফা।

এদের মধ্যে আটক চাচা দীন ইসলাম পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ নিষ্ঠুর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

তিনি একাই নিজ বড় ভাই, ভাবি ও শিশু ভাতিজাকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে মাটিচাপা দেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট কান্দাপাড়া গ্রামের আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪২) ও শিশুপুত্র লিয়ন (৭)।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আটকদের মধ্যে চাচা দীন ইসলাম পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

তিনি একাই নিজ বড় ভাই, ভাবি ও শিশু ভাতিজাকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে মাটিচাপা দেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

পৈতৃক জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কটিয়াদী উপজেলার জামসাইট গ্রামের আসাদ মিয়া-পারভীন আক্তার দম্পতি ও তাদের শিশুপুত্র লিয়ন বুধবার রাতে রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বসতঘরসংলগ্ন বাঁশ ঝাড়ের মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে ২৫০ শয্যার কিশোরগঞ্জ  জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এ নিহত তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়।

বিকালে জামষাইট কান্দাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

আজ শনিবার এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোদের কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।

এদের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী দীন ইসলামকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর