শহরের আদলে গ্রাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে দেওয়ার লক্ষে একটি মাস্টারপ্লান গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ মাস্টারপ্লান নেওয়া হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র জানায়, গত জুনে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বলা হয়, শুধু শহরের উন্নয়ন করলে হবেনা, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন করতে হবে। তার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে গ্রামে উন্নত সড়ক, সুপেয় পানি, শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সড়কের  উন্নয়নের  জন্য মাস্টারপ্লান করেছে। এসব সড়ক হবে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই। এজন্য চলতি ডিজাইন বাদ দিয়ে নতুন ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে যেসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে তা বেশি স্থায়ী হচ্ছে না। কয়েকমাস গেলে ভেঙ্গে যাচ্ছে  কিংবা খানা-খন্দ তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সড়ক ও ব্রীজ টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। বুয়েটকে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) দিয়ে গ্রামীণ সড়কের প্রস্থ নির্ধারণ করিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সে অনুযায়ী গ্রামীণ সড়কের প্রস্থ ১০ ফুট, ইউনিয়নের সড়কের প্রস্থ ১২ ফুট, উপজেলা পর্যায়ের সড়কের প্রস্থ ১৮ ফুট করা হবে। আর পিচ ঢালাইয়ের পরিবর্তে কংক্রিটের ঢালাই হবে। আর নিম্নমানের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তিসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে রাস্তার ব্যয়ের দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।

এদিকে চলতি অক্টোবর মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সড়ক ও সেতু কম খরচে নির্মাণ করার ফলে স্থায়ী হতোনা। তাই স্থানীয় পর্যায়সহ সকল সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক প্রাক্কলন ব্যয় সভায় সিদ্ধান্ত   হয়।

স্থানীয় সরকারের বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, শহর-থেকে গ্রাম প্রত্যেকটি সড়কে যোগাযোগ স্থাপনের বিকল্প নেই। এছাড়া সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ছিল বিশেষ অঙ্গীকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে এ মাস্টারপ্লান নেওয়া হয়েছে। তাই স্থানীয় পর্যায়সহ সকল সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণ করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম  বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে গ্রামীণ অর্থনীতি অকল্পনীয়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ  পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। আগে সড়ক-ব্রিজ লো কস্টে নির্মাণ করা হতো। যার ফলে এসব রাস্তা-ব্রিজ টেকসই হতো না। তাই গ্রামের সড়ক- ব্রীজ টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। আর নিম্নমানের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে রাস্তার ব্যয়ের দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে। গ্রামের  নাগরিকদের উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে যা যা দরকার সব কিছু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর