হাজারো ফুলের রঙ্গে রঙ্গিন পুষ্প মেলা

ফুল সুন্দর ও পবিত্রের প্রতীক। ভালবাসা, জন্মদিন, বিয়ে ও হৃদয় দেয়া নেয়ার মাঝে সবচেয়ে দামী উপহার হচ্ছে ফুল। তাই সবচেয়ে দামি উপহার মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দিতে ময়মনসিংহ পৌরসভার উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে পুষ্প মেলার। “হাজারো ফুলের রঙ্গে রঙ্গিন হোক আপনার নতুন বছর ময়মনসিংহ নগরী হবে ফুলে ফুলে সুরভিত এক নগর নগরীত ফুল থাকবে প্রতিটি আঙ্গিনায়” এই স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত ব্যতিক্রমী এ মেলার আয়োজন। ভালবাসা ও সৌহার্দ্যরে প্রতীক ফুল। তাই নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরের জনসাধারনের মাঝে এই প্রতীককে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার এই আয়োজন নগরবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সহযোগিতায় এবার প্রায় ২৫ টি স্টল রয়েছে। পুষ্প মেলায় ফুল চাষীদের নিজের হাতে চাষ করা দেশী বিদেশী ৫০/৬০ জাতের ফুল আনা হয়েছে। নগর বাসিকে উৎফুল্ল করার পাশাপাশি ফুলচাষ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্যই এ বতিক্রমী মেলার আয়োজন। ময়মনসিংহ পৌরসভার উদ্যোগে শহরের টাউনহল প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় বারের মতো ১লা জানুয়ারি থেকে ২০দিন ব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে ব্যতিক্রম ধর্মী পুষ্প মেলার।

এ মেলায় উঠেছে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দেশী ফুলের পাশাপাশি নানা জাতের বিদেশী ফুল। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলায় নামে ক্রেতাদের ঢল। এই মেলা দেখতে এবং ফুল কিনতে দূরদূরান্ত থেকে আসছে অনেকেই। ভিন্ন ধর্মী আয়োজন দেখে খুশি ক্রেতা ও দশর্নার্থীরা । গত বছর প্রথম পুষ্প মেলায় মাত্র ১৩টি স্টল দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলা ভালভাবে জমে উঠায় খুশি ক্রেতা, দর্শনাথী ও ব্যবসায়ীরা। তাই পুষ্প মেলা জাতীয় ভাবে আয়োজন করার দাবি ব্যবসায়ীদের।

মেলায় ঘুরতে আসা সৈয়দ নজরুল কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোছাঃ নুসরাত জাহান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিদেশী ফুলের চাহিদা বেশী কিন্তু আয়োজকদের বলব এ পুষ্প মেলা যেন জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়। গত রবিবার বিকেলে মেলায় ঘুরতে আসা অষ্টেলিয়ার ১২ জন নাগরিকদের নিয়ে মেলায় এসেছিলেন তাদের ভিজিটর জুলজালালী ওয়ালী রহমান সুইট জানান, এ মেলায় ব্যাপক আকর্ষন করেছে আমাদেরকে। বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের আয়োজনে আমরা সুরভিত। তাই এ পুষ্প মেলা যেন প্রতিবছর আয়োজন করা হয়। নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সুরুজ আলী মীর বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম একটু বেশী হলেও ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।

এ বছর বিদেশী ক্র্যাকর্টাস,বনসাই, লমীই, সহ মেীসুমী ফুলের চাহিদা ব্যাপক। এ মেলার আয়োজনে ব্যাপক খরচের বিষয় কিন্তুু ব্যতিক্রমী এ পুষ্প মেলার আয়োজনে আমরা সহ শহরবাসীর পক্ষ থেকে মেয়র মহোদয়কে অভিনন্দন জানাই। সাধারন সম্পাদক আঃ রশিদ জানান, এ পুষ্প মেলায় সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল বয়সী জন সাধারনের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এ মেলা। পুষ্প মেলাকে কেন্দ্র করে সাধারন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষনিক কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

পুষ্প মেলার বিষয়ে পৌরসভার জননন্দিত ও প্রতিশ্রুতিশীল মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, কৃষিভিত্তিক পেশাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ফুলচাষ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে আতœসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে এ মেলার আয়োজন। ফুলের চেতনা ও প্রেরনা শহরবাসীকে পৌছে দেয়াই এ মেলার মূল লক্ষ্য।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর