নেইমারের সামনে শুধুই পেলে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোচ তিতের ৫০ ম্যাচের মাইলফলকটা স্মরণীয় করে রাখলেন নেইমার। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৪-২ ব্যবধানে বড় জয় পায় ব্রাজিল। আর এই হ্যাটট্রিক দিয়ে নেইমার নিজেও নতুন মাইলফলক ছুঁলেন।

নেইমার এখন ব্রাজিলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। গতকাল তিনি পেছনে ফেলেছেন দ্য ফেনোমেনন খ্যাত রোনাল্ডোকে। নেইমারের সামনে এখন আছেন শুধুই কিংবদন্তি পেলে।

দুই বার এগিয়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছে পেরু। কিন্তু পেরুর সেই সম্ভাবনাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেন নেইমার। তার দারুণ হ্যাটট্রিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে ফিরেছে ব্রাজিল। এর আগে প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে ৫-০ গোলে হারায় সেলেসাওরা।

ব্রাজিলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১০৩ ম্যাচে ৬৪টি গোল করেছেন নেইমার। তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা ৯৮ ম্যাচে ৬২টি। অন্যদিকে সর্বাধিক ৭৭টি গোল করে এ তালিকায় শীর্ষে আছেন কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। মানে পেলেকে ছুঁতে নেইমারকে করতে হবে আরো ১৩টি গোল। নেইমারের বয়স এখন ২৮, পেলের রেকর্ডে তিনি নজর রাখতেই পারেন।

ব্রাজিলের ডাগ আউটে কোচ হিসেবে ৫০তম বারের মতো দাঁড়িয়ে নেইমারের কাছ থেকে জয় উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কোচ তিতে। ম্যাচ শেষে নেইমারের রেকর্ড গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা জাতীয় দলের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর আলাদা আলাদা মূল্য আছে। রোনাল্ডো হলেন অতিমানবীয় ফেনোমেনন। রিভালদো, রোমারিও, বেবেতোদের আলাদা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। তাই, আমি কারো সঙ্গেই কারো তুলনা পছন্দ করি না। তবে, আমি নেইমারের ব্যাপারে বলতে পারি, ওকে অনুমান করা যায় না। ও এমন একজন খেলোয়াড়, যে একই সঙ্গে অ্যাসিস্ট করতে পারে গোলও করতে পারবে। আর যত দিন যাচ্ছে ও তত পরিপক্ক হয়ে উঠছে।’

ম্যাচ জয়টা সহজ ছিল না ব্রাজিলের জন্য। জয়ের ব্যবধান দেখে সেটা অনুমান করা কঠিন। জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে। এরপর ইনজুরি সময়ে নেইমার আবারও ব্যবধান বাড়ান। বিশেষ করে, পেরুর কড়া ট্যাকলে বড় একটা সময় নাকাল হতে হয় ব্রাজিলকে।

কোচ বলেন, ‘পেরুর বিপক্ষে খেলা বরাবরই কঠিন। সেটা আমাদের ধারণাতে ছিল। সেই অর্থেও এই ম্যাচটা একটা ইতিহাস।’

ব্রাজিলের সেরা গোলদাতা

পেলে ৭৭, নেইমার ৬৪, রোনাল্ডো ৬২, রোমারিও ৫৫, জিকো ৫২ ।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর