জাল ফেলতেই উঠছে দেশি মাছ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রকৃতির মাঝে বেশ সাড়া ফেলে বর্ষা। নদী, খাল-বিল আর হাওরে ভাসে জোয়ারের ঢেউ। এই ঢেউয়ের সঙ্গে ছন্দ খুঁজে পায় দেশীয় মাছ। হরেক রকম মাছেরা মিতালি করে ঢেউয়ের তালে তালে।

তাই বর্ষা এলেই মাছ ধরার আগ্রহ বাড়ে সবার। গ্রামীণ জনজীবনে যা খুবই পরিচিত দৃশ্য। জাল ফেলে ধরা হয় মাছ। সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে ভরা এসব মাছের মধ্যে রয়েছে কৈ, মাগুর, শিং, টেংরা, পুঁটি, মলা, শৌল, বোয়াল, ভ্যাদা, বাইম, চিংড়ি, টাকি, চাপিলা, আইড়, পাবদা, চান্দা প্রভৃতি মাছ।

এই মাছ এখন উপার্জনের মাধ্যম। সময়-সুযোগ করে জেলেসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন জাল, বেড়জাল, চাই, খরা দিয়ে ধরছেন মাছ। এদিকে বাজারে দেশি মাছের কদরও বেশি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এমন অনেকেই মাছ ধরছেন। বিক্রি করছেন বাজারে। তবে হাটবাজারে দেশি মাছ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। ফলে সব শ্রেণির লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সুজন চন্দ্র দাস বলেন, বর্ষা মৌসুম থাকায় নদী, খাল বিল ও জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। সকাল বিকেলে জালেও প্রচুর মাছ উঠছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হচ্ছে। দৈনিক ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার উপর মাছ বিক্রি করেন বলে জানায়।

পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার ক্রেতা মহসিন মিয়া বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে দেশীয় প্রজাতির কৈ, শিং, টেংরা, পুঁটি, বোয়াল, ভ্যাদা, বাইম, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাজারে দেখা যাচ্ছে। তুলনামূলক অন্যান্য সময়ের থেকে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

নীল মোহর দাস বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে খাল বিল নদী ও জলাশয় থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। প্রতিদিন নৌকার মাধ্যমে জাল দিয় মাছ ধরে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার উপর মাছ বিক্রি হয়। তবে বর্ষা কালে জীবিকা ভালো ভাবে চললেও শুষ্ক মৌসুমে চলা খুবই কষ্ট হয়। ওই সময় জীবন বাঁচাতে কৃষি কাজসহ এলাকায় যখন যে কাজ পাই করা হয়।

আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের ফলে খাল বিল নদী ও জলাশয়ে পানি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় মাছের প্রজনন স্বাভাবিক ছিল। পাশাপাশি দেশি মাছ সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ায় দেশি মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর