গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ ইউএনও’র ওপর হামলার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম হামলা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, আমরা এ বিষয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই একটা ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে পারব বলে আশা করছি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। সেখানে নতুন ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রংপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিমউদ্দীনকে।

তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার ওপর হামলা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়নি। হামলা ঘটনার সঙ্গে ওসি আমিরুল ইসলামের প্রত্যাহারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চাকরির স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে ঘোড়াঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে সোপর্দ করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদের কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বা নতুন করে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।

দিনাজপুরের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইসরাইল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় তাদের দুজনকেই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির মধ্যে নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসের ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় আদালতে তাদের দুজনকে সোপর্দ করা হয়েছে।

অপর আসামি আসাদুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শেষ হবে এবং শনিবারই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কি-না এবং মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর