সাত দিনে বেড়েছে ৬ নিত্যপণ্যের দাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটি একটি করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। গত ১ মাস ধরে রাজধানীর খুচরা বাজারে চাল, ডাল, তেল, শাক-সবজির দাম বাড়ছে। গত ৭ দিনে খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি, মসুর ডাল (ছোট দানা), দেশি আদা, পেঁয়াজ, দারুচিনি, আলু- এ ছয়টি পণ্যের দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দাম বৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে।

নতুন করে ছয় পণ্যের দাম বাড়ার চিত্র ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায় লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, গত ৭ দিনে নতুন করে প্রতিকেজি মসুর ডালে (ছোট দানা) দাম বেড়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কেজিতে দেশি আদার দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রতি কেজি দারুচিনিতে ৭ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

জানতে চাইলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল

জব্বার মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, ‘অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার তদারকি জোরদার করা হয়েছে। পাইকারি বাজার থেকে শুরু করে অধিদফতরের একাধিক টিম নিয়মিত মনিটরিং করছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই সব পণ্যের দাম কমে আসবে। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে ভোক্তা আইনে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।’

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি আলু মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪২ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১২৫ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ১২০ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল (ছোট দানা) বিক্রি হয় ১২০ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ১১৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা; এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয় সর্বোচ ৫০০ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৪৮০ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৫৫-৬০ টাকা।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সেলিম বলেন, সেই পুরনো অজুহাতে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। করোনার এ সময় আমাদের মতো ভোক্তার আয় কমে গেছে। এভাবে পন্যের দাম বাড়তে থাকলে কি করে টিকে থাকব।

নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা আকবর আলী বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এক মাস ধরে এভাবে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। পাইকাররা সরবরাহের ঘাটতির অজুহাত দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। বেশি দরে এনে আমরাও বেশি দরে বিক্রি করছি। এ নিয়ে ক্রেতাদের কাছে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আসলে বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তদারকির বিকল্প নেই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর